তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রান ১৩.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৯। পরের ৩৭ বলে উঠল ৮৯ রান। তার মধ্যে একাই ২৫ বলে ৬৪ রান করলেন আন্দ্রে রাসেল। মারলেন ৩টি চার ও ৭টি বিশাল ছক্কা। ইডেনে উঠল রাসেল-ঝড়। সেই পুরনো ‘দ্রে রাস’কে দেখল কলকাতা।
গত কয়েক মরসুম ধরে আগের বিধ্বংসী ফর্মে দেখা যাচ্ছিল না রাসেলকে। দু’একটি ম্যাচে হয়তো সামান্য ঝলক দেখাচ্ছিলেন, কিন্তু একার হাতে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারছিলেন না। এ বার প্রথম ম্যাচেই সেটা করলেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে একটার পর একটা বল উড়ে গেল গ্যালারিতে। সেই সব ছক্কার তালে নাচলেন ইডেনের দর্শকেরা। ভিআইপি বক্সে থাকা শাহরুখ খানের মুখে দেখা গেল চওড়া হাসি।
গত বার ১৪টি ম্যাচে ২২৭ রান করেছিলেন রাসেল। তার মধ্যে চারটি ম্যাচে ৩০ রানের বেশি করেছিলেন তিনি। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচে ৩৫ ও ৪২, দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৩৮ ও গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৪। একটিও অর্ধশতরান মারতে পারেননি। ২০.৬৪ গড় ও ১৪৫.৫১ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন তিনি। রাসেল ফর্মে না থাকায় সমস্যায় পড়েছিল কেকেআর।
আরও পড়ুন:
এ বার শুরু থেকেই দর্শকদের ভরসা দিলেন রাসেল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম দু’তিনটি বল ধরে খেললেন। তার পরে দেখা গেল পুরনো রাসেলকে। গায়ের জোরে একটার পর একটা বল বাউন্ডারিতে ফেললেন তিনি। বোলারেরারও তাঁকে কিছুটা সুবিধা করে দিলেন। রাসেলের ব্যাটের কাছে বল ফেললেন তাঁরা। পেসার-স্পিনার কাউকে রেয়াত করলেন না ক্যারিবীয় ক্রিকেটার। ২৫৬ স্ট্রাইক রেটে রান করে কেকেআরকে ২০০ পার করালেন তিনি। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেন।
রাসেলের ফর্ম কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে কেকেআরকে। গত বার ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল রিঙ্কু সিংহকে। এ বারও তিনি রয়েছেন। সেই সঙ্গে রাসেলও যদি পুরনো ফর্মে খেলতে পারেন তা হলে আরও এক বার ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে কলকাতা।