তিনি আরও বলেছেন, ‘‘পারফরম্যান্স কতটা উপভোগ করতে পারছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যে দিন পরীক্ষা করা বন্ধ করে দেব, সে দিন বুঝবেন আমি আগ্রহ হারিয়েছি। সে দিন আমার ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে।’’ এ বারের আইপিএলে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট অশ্বিন বলেছেন, ‘‘এ বছর নিজের ভাবনাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পেরেছি। এটা বলে বোঝানো কঠিন। এটাকে ভাবনার স্বাধীনতা বলা যেতে পারে।’’
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের আন্দ্রে রাসেলকে আউট করতে সব থেকে খুশি হয়েছেন অভিজ্ঞ স্পিনার। অশ্বিন বলেছেন, ‘‘আমি কয়েক জন সেই ভাগ্যবানদের এক জন যে জীবনের প্রয়োজন খুঁজে পেয়েছি। আমার কাছে সব থেকে খুশির মুহূর্ত ছিল রাসেলকে আউট করা। দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি রাসেলের উইকেটটই ছন্দ বেধে দিয়েছে। আগের দিনের অনুশীলনেই বোলিং রান আপ একটু পরিবর্তন করি। কিছুটা বেশি কোনাকুনি উইকেটে ঢুকছিলাম। ম্যাচে সেটা প্রথম বার প্রয়োগ করতেই ও আউট হয় এবং ম্যাচে ভারসাম্য ফিরে আসে। পরে যুজবেন্দ্র হ্যাটট্রিক করল। তখনই বুঝতে পারি, সব কিছু ঠিকঠাক হচ্ছে।’’
অশ্বিন জানিয়েছন, আগেও একই জিনিস চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তখন সমালোচিতও হয়েছেন। এ বারেও ব্যর্থ হলে ক্রিকেটপ্রেমীরা অন্য রকম প্রতিক্রিয়া দিতেন বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।
নিজের ক্রিকেট জীবন নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘এটা একটা যাত্রা। অনেক ভুল করেছি। এক সময় আমাদের কোচ ছিলেন ডানকান ফ্লেচার। ওঁকে গিয়ে সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলাম, উন্নতির রাস্তা কী। কী ভাবে আরও ভাল ক্রিকেটার হতে পারি। উনি বলেছিলেন, মানুষের সামনে তুমি যদি ব্যর্থ হও, ভুল কর তাহলেই আরও ভাল ক্রিকেটার হতে পারবে। সেটাই সারা জীবন ধরে করেছি। অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, কেন এসব করছি। বেশি কিছু পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত চেষ্টা করছি বলেও মন্তব্য শুনেছি।’’