বেইতিয়া ডোবালেন মোহনবাগানকে।
ইয়ং এলিফ্যান্টস ২ মোহনবাগান ১
(সোমজে) (জুলেন)
সবুজ-মেরুন জার্সিতে রবিবার সাড়া ফেলে দিতে পারতেন জুলেন কলিনাস। ভাগ্য তাঁর সহায় না হওয়ায় এ দিন চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত শেখ কামাল ক্লাব কাপের প্রথম ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হল স্পেনীয় ফুটবলারকে। থুড়ি, বলা ভাল মোহনবাগানকে।
খেলার ১৮ মিনিটে বেইতিয়ার কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে জুলেনই প্রথমে এগিয়ে দিয়েছিলেন কিবুর মোহনবাগানকে। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে সেই জুলেনই পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিলেন। ম্যাচ তখন পেন্ডুলামের মতো দুলছে দু’ দিকে। খেলার ফল ১-১। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেই প্রথম ম্যাচ জিতে নেবে সবুজ-মেরুন শিবির। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে অবাক করে বেইতিয়া পেনাল্টি থেকে গোল করার সোনার সুযোগ নষ্ট করলেন। অথচ শহর কলকাতায় পা রাখার পর থেকে এই বেইতিয়াই মোহনবাগানকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। ডেড বল সিচুয়েশনকে কাজে লাগাতে দক্ষ তিনি। মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে সঠিক পাস বাড়ানোর ক্ষমতার জন্য তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গ্রিন অক্টোপাস’। চট্টগ্রামে মোক্ষম সময়ে বেইতিয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেন না। বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল তাঁর বুট জোড়া। প্রথম ম্যাচে হেরে গেল দল। ফলে শেখ কামাল ক্লাব কাপের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব।
পেনাল্টি স্পট থেকে গোললাইন বিশ্বের সব চেয়ে রহস্যময় সরণী। সেখানেই থেমে গেলেন স্পেনীয় তারকা বেইতিয়া। তাঁর নির্বিষ শট সহজেই থামিয়ে দেন ইয়ং এলিফ্যান্টসের গোলকিপার। বেইতিয়া পেনাল্টি নষ্ট করার ঠিক পরের মুহূর্তেই সোমজে ২-১ করেন। তখন অবশ্য লাওসের দলটা ১০ জনে নেমে গিয়েছিল। সেই গোল আর শোধ করতে পারেননি কিবু ভিকুনার ছেলেরা। গোল করার মতো পরিস্থিতিও তৈরি করতে পারেনি মোহনবাগান।
আরও পড়ুন: স্পেনীয় কোচরাই পারেন ফুটবলারদের সেরাটা বের করে আনতে, বলছেন এটিকে-র প্রাক্তন কোচ
অথচ এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। শুরুতে গোল পেয়ে গেলে যে কোনও দলই পেয়ে যায় অ্যাডভান্টেজ। মোহনবাগান সেটাই পারল না। বিরতির ঠিক আগে সোমজে সমতা ফেরান ইয়ং এলিফ্যান্টসের হয়ে। তার পরে কোনও দলই সে ভাবে ওপেন করতে পারেনি। খেলার ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাগান-শিবির। চামোরোই গোলের গন্ধ মাখা বল বাড়িয়েছিলেন। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে জুলেনকে ফেলে দেওয়া হলে রেফারি পেনাল্টি দেন মোহনবাগানকে। লাল কার্ড দেখানো হয় ইয়ং এলিফ্যান্টসের ডিফেন্ডারকেও। তাতেও দমেনি তাঁরা। পরের মুহূর্তেই বাগানের জাল কাঁপিয়ে দেন ম্যাচের সেরা সোমজে। ১০ জনের ইয়ং এলিফ্যান্টসের ম্যাচ জিততে আর কোনও সমস্যাই হয়নি। দিনটা হতেই পারত জুলেন কলিনাসের। সেই জায়গায় মুখ শুকনো করে মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy