জোড়া গোলেও জয় এল না। হতাশ গঞ্জালেস। ফাইল চিত্র
মরসুমের তিন নম্বর ট্রফিতেও ব্যর্থ কিবু ভিকুনার মোহনবাগান। কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপের পর বাংলাদেশের শেখ কামাল অন্তর্জাতিক গোল্ড কাপেও হেরে গেলেন ফ্রান মোরান্তেরা। ফলে ফাইনালে ওঠা হল না পালতোলা নৌকার সওয়ারিদের। তাদের হারিয়ে মালয়েশিয়ার দল তেরেঙ্গানু ফাইনালে মুখোমুখি হল চট্টগ্রাম আবাহনীর।
দু’বার পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফেরার পর শেষ পর্যন্ত বিশ্রী হারলেন জোসেবা বেইতিয়ারা, মূলত রক্ষণের দোষে। মালয়েশিয়ার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব তেরেঙ্গানু এফ সি-র ইংল্যান্ডজাত মিডিয়ো লি টাক হ্যাটট্রিক করলেন। তাঁকে আটকাতেই পারলেন না ড্যানিয়েল সাইরাস, ফ্রান মোরান্তের মতো বিদেশি ডিফেন্ডাররা। লি-র শেষ গোল অবশ্য পেনাল্টি থেকে। পুরো রক্ষণকে বোকা বানিয়ে মোহনবাগান বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লি। কিছু করতে না পেরে অসহায় গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার তেরেঙ্গানু অধিনায়কের পা টেনে ফেলে দেন। সালভা চামোরোকে বাইরে রেখে রক্ষণ জমাট করেছিল সবুজ মেরুন। বিরতি পর্যন্ত সুহের ভিপিরা পিছিয়ে ছিলেন ০-১ গোলে। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই পেনাল্টি থেকে ১-১ করে দেন ফ্রান গঞ্জালেস। ব্রিটো পি এম কে ফাউল করেছিলেন তেরেঙ্গানুর এক ডিফেন্ডার। এরপর দুটো দুটো অসাধারণ সেট পিসের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। মোহনবাগানের ছয় জনের মানব প্রাচীর টপকে অসাধারণ একটি সোয়ার্ভিং শটে গোল করে যান লি। ২-১ এগিয়ে থাকা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুমিনিটের মধ্যেই সমতায় ফেরে মোহনবাগান। বেইতিয়ার কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ফ্রান গঞ্জালেস। ২-২ অবস্থায় রক্ষণের দোষে ফের আরও দু’টি গোল হজম করতে হল মোহনবাগানকে।
মোহনবাগান: দেবজিৎ মজুমদার, লালরাম চুলোভা, ফ্রান মোরান্তে (সালভা চামোরো), ড্যানিয়েল সাইরাস, ধনচন্দ্র সিংহ, ফ্রান গঞ্জালেস, জুলেন কলিনাস, ব্রিটো পি এম (রোমারিও জেসুরাজ), শিল্টন ডি সিলভা, জোসেবা বেইতিয়া, সুহের ভিপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy