Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Madan Lal

‘পেসারদের পাশে বিরাটের মতো কোনও অধিনায়কই দাঁড়ায়নি’

এখন ভারতীয় দলে যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমারের মতো বোলাররা নিয়মিত। এ ছাড়াও উঠে আসছেন দীপক চাহার, নবদীপ সাইনি, শার্দূল ঠাকুররা।

বিরাটের এই আগ্রাসন পছন্দ মদন লালের। ছবি: এএফপি।

বিরাটের এই আগ্রাসন পছন্দ মদন লালের। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ১৬:০৩
Share: Save:

ভারতীয় দলে পেস-সংস্কৃতির পতাকা তুলে ধরার জন্য অধিনায়ক বিরাট কোহালির ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মদন লাল। তাঁর মতে, এর আগে কোনও ভারতীয় অধিনায়ক বিরাটের মতো পেসাদের উৎসাহ দেননি।

প্রাক্তন পেসার অবশ্য পেসারদের উৎসাহ দেওয়া সংস্কৃতি সুনীল গাওস্করের বলে জানিয়েছেন। তবে বিরাট সেটাকেই ‘অবিশ্বাস্য’ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এখন ভারতীয় দলে যশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমারের মতো বোলাররা নিয়মিত। এ ছাড়াও উঠে আসছেন দীপক চাহার, নবদীপ সাইনি, শার্দূল ঠাকুররা। ২০১৮-’১৯ মরসুমে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতে আসার নেপথ্যে ভারতীয় পেসারদের ভূমিকা ছিল বিশাল।

মদন লালের কথায়, “বিরাট কোহালি যে ভাবে পেসারদের উৎসাহ দেয়, তা কোনও অধিনায়ক এর আগে করেনি। আমি এটা নিয়ে বাজি ধরে বলতে পারি। ১৫-২০ বছর আগের কথা ভাবলে দেখা যাবে, ভারত পেসারদের অভাবে খুব বেশি ম্যাচ জিততে পারেনি। এখন ভারত জিতছে কারণ হাতে দুর্দান্ত একটা পেস আক্রমণ রয়েছে। কোহালি জানে যে, পেস আক্রমণে তীক্ষ্ণতা থাকলে জেতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আমার মনে হয় যে, পেসারদের পাশে থাকার ব্যাপারটা সুনীল গাওস্কর শুরু করেছিলেন। তবে বিরাট কোহালি সেটাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে এবং তা করেছে অবিশ্বাস্য ভাবে। অদূর ভবিষ্যতে ভারতকে অনেক ম্যাচ জেতানোর মতো চার-পাঁচজন বোলার রয়েছে আমাদের।”

আরও পড়ুন: ‘আত্মতুষ্ট ছিলাম, ভারতকে খাটো করে দেখেছিলাম’, ’৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনাল হার নিয়ে বললেন হোল্ডিং

আরও পড়ুন: ১৯৮৫-এর দল নিয়ে শাস্ত্রীর দাবি সমর্থন করলেন মাইকেল হোল্ডিং

বিরাটের আগ্রাসনও পছন্দ করেন মদন লাল। তিনি বলেছেন, “আমার তো ওর আগ্রাসী মানসিকতা ভাল লাগে। অনেকেই ওর সমালোচনা করেন, কিন্তু আমি তা করি না। আমাদের এমন আগ্রাসনই দরকার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বলা হয় যে, ভারতীয়রা তেমন আগ্রাসী নয়। এখন এক জন ক্রিকেটার, যে কি না অধিনায়ক, সে যখন আক্রমণাত্মক শরীরী ভাষা নিয়ে এসেছে, তখন সেটার প্রশংসা করা উচিত। কখনও কখনও এটা অবশ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তবে যত ক্ষণ তা না হচ্ছে, তত ক্ষণ ঠিকই আছে। আসলে ও প্রতিটা ম্যাচ জিততে চায়। এ জন্যই আমরা অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড, যেখানেই যাই, বিপক্ষ চিন্তায় পড়ে যায়।” বিরাটের এই দলকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ভারতীয় দলের মধ্যে দেখছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE