Advertisement
E-Paper

ড্রেসিংরুমে কাঁদলেন মেসি, সমর্থকদের তোপেও বিদ্ধ

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কিন্তু ছেড়ে কথা বলছে না বার্সেলোনার। বুধবার ‘স্পোর্ট’ সংবাদপত্রের শিরোনাম, ‘‘স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের রাত।’’

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০৩:৫৯
স্বপ্নভঙ্গ: লিভারপুলের কাছে হারের পরে বিধ্বস্ত মেসি। গেটি ইমেজেস

স্বপ্নভঙ্গ: লিভারপুলের কাছে হারের পরে বিধ্বস্ত মেসি। গেটি ইমেজেস

আরও এক স্বপ্নভঙ্গের রাতের সাক্ষী রইলেন তিনি। মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিরুদ্ধে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে এ বারের মতো বিদায় নিল বার্সেলোনা। যন্ত্রণাবিদ্ধ লিয়োনেল মেসি কান্নায় ভেঙে পড়লেন ড্রেসিংরুমে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ম্যাচের মধ্যেই বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলেন বার্সেলোনার মহাতারকা। ড্রেসিংরুমে ফেরার পরে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি তিনি। তাঁকে সামলান সতীর্থ লুইস সুয়ারেস। তার পর তাঁকে ডোপ পরীক্ষার জন্য ডেকে নেন উয়েফার আধিকারিকেরা। ফলে মেসিকে ছেড়ে বার্সেলোনার বাকি সদস্যরা চলে যান বিমানবন্দরে। পরে মেসি তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।

কিন্তু সেখানেও অপেক্ষা করছিল ক্ষুব্ধ বার্সা-সমর্থকেরা। তাঁদের সঙ্গে সামান্য উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয় লিয়োর। যদিও দ্রুততার সঙ্গে মেসিকে বিমানবন্দরের ভিতরে নিয়ে চলে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে সুয়ারেস জানান, সমর্থকদের ক্ষোভ অত্যন্ত সঙ্গত। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ভক্তদের কাছে। তাঁদের সমস্ত রাগ, অভিমান, সমালোচনা আমরা নতমস্তকে স্বীকর করছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা চারটি গোলই খুব বাজে হজম করেছি। বিশেষ করে চতুর্থ গোলটা যে ভাবে হয়েছে, তা দেখে মনে হয়েছিল আমাদের ডিফেন্ডাররা যেন স্কুলের পড়ুয়া। এই অবস্থায় সমর্থকদের সমস্ত সমালোচনা আমাদের মেনে নিতেই হবে।’’ তবে প্রাক্তন লিভারপুল তারকা এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমরাও কিন্তু রক্তমাংসের মানুষ। বিদায়ের শোকে আমরাও মুহ্যমাঐন। এই মুহূর্তে আত্মসমীক্ষায় বসা উচিত সকলের।’’

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কিন্তু ছেড়ে কথা বলছে না বার্সেলোনার। বুধবার ‘স্পোর্ট’ সংবাদপত্রের শিরোনাম, ‘‘স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের রাত।’’ প্রায় একই সুরে ‘এল মুন্দো’ পত্রিকার শিরোনাম, ‘‘লজ্জা! আর কোনও বিশেষণই এখানে প্রযোজ্য নয়।’’ তার সঙ্গেই বার্সা ম্যানেজারের পদ থেকে আর্নেস্তো ভালভার্দেকে সরানোর দাবিও উঠে গিয়েছে। মঙ্গলবার ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে ভালভার্দে বলেছেন, ‘‘এই যন্ত্রণা আমাদের এবং বার্সা সমর্থকদের পক্ষে সহ্য করা খুব কঠিন। দ্রুত দু’টো গোল হওয়ার পরে আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারিনি। বিশেষ করে, চতুর্থ গোলের সময়ে আমাদের দলের ডিফেন্ডারেরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি। ওরা নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই ফলাফলের কোনো ব্যাখ্যা হয় না।’’

কিন্তু ভালভার্দের সেই ব্যাখ্যা কাম্প ন্যুতে তাঁর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার পথে কতটা উপযোগী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে বার্সেলোনা। যেখানে লেখা রয়েছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি মেসিদের ম্যানেজার হিসেবে থাকবেন। তবে মঙ্গলবারের শোচনীয় বিদায়ের পরে আমূল পাল্টে গিয়েছে ছবিটা। ভক্তদের ক্ষোভ সামলাতে বার্সা-কর্তারা যদি নতুন ম্যানেজারের খোঁজ শুরু করে দেন, তা হলেও বলার কিছু থাকবে না।

মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে সাংবাদিক সম্মেলনে ভালভার্দে সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এই হারের পরে আমার কী হবে, তা নিয়ে ভাবতে চাই না। বার্সা ভক্তরা যে আঘাত পেয়েছেন, সেই ক্ষতে কত দ্রুত দল প্রলেপ দিতে পারবে তা অনেক বেশি জরুরি। সেখানে আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে যাওয়া অর্থহীন। কোচ হিসেবে এই বিপর্যয়ের সমস্ত দায় আমি নিতে বাধ্য।’’ বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমিউ বলেছেন, ‘‘আমরা প্রত্যেকেই এই ফলে বিস্মিত এবং হতাশ। তবে এখনও কোপা দেল রে ফাইনাল রয়েছে। টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরে সামনের দিনগুলো কঠিন হতে চলেছে। তবে মাথা ঠান্ডা রেখে সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরাতেই হবে।’’

Messi Champions League
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy