আরও পড়ুন: ‘বড় দলের এখন আর ভাল খেলোয়াড় বাছার ক্ষমতা নেই’
আরও পড়ুন: ধারেকাছে নেই ধোনি-সঙ্গাকারা! এশিয়ার সফলতম উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কে জানেন?
এ দিন পিয়ারলেস জিতলেই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যেত। মহমেডানের কাছে হেরে যাওয়ায় জর্জ টেলিগ্রাফ ও নিউব্যারাকপুর রেনবোর বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে পিয়ারলেসকে। ফুটবলভক্তরা মনে করছেন রেনবো মরিয়া হয়ে লড়বে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে। কারণ অবনমনের লাল চোখ দেখছে সৌমিক দে-র রেনবো। নিজেদের বাঁচানোর জন্য রেনবো লড়বে। জর্জ টেলিগ্রাফও পিয়ারলেসকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছুড়ে দেবে বলেই মনে করছেন ফুটবলভক্তরা। পিয়ারলেস হেরে গেলেও লিগ জেতার আশা এখনও শেষ হয়নি। এ দিন দু’ গোল হজম করায় পিয়ারলেসের গোল পার্থক্য +১০। গোল পার্থক্যে ইস্টবেঙ্গল +৬। ফলে আজকের পরে গোল পার্থক্যের দিক থেকে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থায় লাল-হলুদ। কিন্তু, মাঠে নেমে না জিতলে সব আশা শেষ হয়ে যাবে। পরিস্থিতির গুরুত্ব নিশ্চয় বুঝছেন কোলাডো-ডিকারা।
ছন্দে থাকা পিয়ারলেস যে আজ মুখ থুবড়ে পড়বে, তা কি কেউ আগে ভেবেছিলেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে পিয়ারলেসকে এগিয়ে দিতে পারেননি জিতেন মুর্মূ। অ্যান্টনি উলফকে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বক্সের ভিতর ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় পিয়ারলেস। জিতেন শট মারার আগেই সাদা-কালো গোলকিপার প্রিয়ন্ত ঝাঁপ দিয়েছিলেন। গোল ছিল ফাঁকা। জিতেন উড়িয়ে দিলেন। সোনার সুযোগ নষ্ট করলেন তিনি। এর মিনিট ছয়েক পরেই জোরালো শট থেকে করিম গোল করে এগিয়ে দেন মহমেডানকে। আনসুমানা ক্রোমার অভাব অনুভূত হল পিয়ারলেসের আক্রমণভাগে।
ক্রোমা খেললে চাপে থাকতেন সাদা-কালো শিবিরের ডিফেন্ডাররা। সেটা আর হল না এদিন। উল্টে ৭০ মিনিটে ছাংতে গোল করে পিয়ারেলেসকে মাটি ধরান। সাপ লুডোর লিগে এটাই তো মজা। কয়েকদিন আগেও মহমেডান স্পোর্টিং লিগ জেতার দাবিদার ছিল না। মুহূর্তে বদলে গেল ছবিটা। সাদা-কালো শিবির এখন লিগ তালিকার শীর্ষে। দীপেন্দুর ছেলেদের সামনেও লিগ জেতার সুযোগ রয়েছে।