নাদালের বয়স ঊনত্রিশ হলেও মনে রাখতে হবে ও উনিশ-কুড়ি থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ খেলে আসছে। প্রায় ওই বয়সেই ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফলে ফেডেরার বা জকোভিচের দীর্ঘস্থায়ী কেরিয়ারের সঙ্গে নাদালেরটা ঠিক তুলনা হয় না। ফেডেরারও তো শেষমেশ বয়স আর ফিটনেসের কাছে ‘হার’ স্বীকার করে নিয়ে এ বার ফরাসি ওপেন খেলল না!
নাদালের আবার তার উপর খেলাটা প্রচণ্ড রকমের শারীরিক। প্রতিটা সার্ভিস থেকে সমস্ত ধরনের গ্রাউন্ডস্ট্রোক, রিটার্নে শরীরের সব শক্তি উজাড় করে দেয়। এই মডেলের টেনিস প্লেয়ারদের চোটের প্রবণতা বেশি হয়। এবং নাদাল ন’বার বড় ধরনের চোট পেয়েছে। কব্জিতেও আগে চোট পেয়েছে। অস্ত্রোপতারও হয়েছে। হ্যাঁ, ওকে শেষ মাসখানেক ভাল ফর্মে দেখাচ্ছিল। আগের চেয়ে ফিটও।
কিন্তু খেলাধুলোয় একটা কথা আছে— তোমার বয়স যত বেশি, চোট থেকে সেরে উঠতে ততই বেশি সময় লাগবে। সে কারণে নাদালকে উপরে-উপরে ফিট দেখালেও, কে জানে হয়তো ভেতরে পুরো সেরে ওঠেনি! নইলে ফরাসি ওপেনে আচমকা দ্বিতীয় রাউন্ডে ইঞ্জেকশন নিয়ে খেলবে কেন? আর কেনই বা ম্যাচের পরের দিন কব্জি নাড়াতেই পারবে না? আমার তো মনে হচ্ছে, একমাসের মধ্যে শুরু উইম্বল়নেও ও খেলতে পারবে না এ বার। যতই এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলুক, উইম্বলডনের আগে আসা করছে সেরে উঠবে। বরং আমি এটাও মনে করি, নাদাল-যুগের চূড়ান্ত সমাপ্তি ওর দ্বিতীয় ঘর রোলাঁ গারোতেই ঘোষিত হয়ে গেল ২০১৬-র ২৭ মে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy