জ্যাভলিনে ৯০ মিটারের দূরত্ব অবশেষে পেরোলেন নীরজ চোপড়া। শুক্রবার দোহা ডায়মন্ড লিগে ৯০.২৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়লেন তিনি। কেরিয়ারে প্রথম বার ৯০ মিটারের বেশি জ্যাভলিন ছুড়লেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী খেলোয়াড়। তবু প্রথম হওয়া হল না নীরজের। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করতে হল তাঁকে। প্রথম হলেন জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার।
দোহায় এ দিন প্রথম থ্রোয়ে ৮৮.৪৪ মিটার ছুড়েছিলেন নীরজ। তখনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ছন্দে রয়েছেন। দ্বিতীয় থ্রোটি ফাউল হয়। তৃতীয় থ্রোয়ে ৯০.২৩ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছোড়েন তিনি। তাতেই বাকি প্রতিযোগীদের থেকে উপরে চলে যান এবং পরের রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করেন। চতুর্থ থ্রোয়ে তিনি ৮০.৬০ মিটার ছোড়েন। পঞ্চম থ্রো আবার ফাউল হয়। ষষ্ঠ থ্রোয়ে নীরজ ৮৮.২০ মিটার ছোড়েন। তখন মনে হচ্ছিল তিনিই এই প্রতিযোগিতা জিতবেন। কিন্তু নাটকের বাকি ছিল। শেষ থ্রোয়ে ৯১.০৬ মিটার ছুড়ে নীরজকে পেরিয়ে যান ওয়েবার। পরে ভারতীয় খেলোয়াড়কে জড়িয়ে ধরে একসঙ্গে ছবি তোলেন।
এর আগে সর্বোচ্চ ৮৯.৯৪ মিটার ছুড়েছিলেন নীরজ। ২০২২-এ স্টকহোম ডায়মন্ড লিগে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। গত বছর লুসেন ডায়মন্ড লিগে ৮৯.৯৪ মিটার ছুড়েছিলেন। গত বছর অলিম্পিক্সে ছুড়েছিলেন ৮৯.৩৪ মিটার। কিন্তু রুপো পান। ৯২.৯৭ মিটার ছুড়ে সোনা জিতেছিলেন পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিম।
এত দিন পর্যন্ত বার বার নীরজ বলেছিলেন ৯০ মিটারের দূরত্ব পেরনোর কথা। আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিছুতেই স্বপ্ন সফল হচ্ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে নীরজ বলেছিলেন, “৯০ মিটার দূরে কবে ছুড়ব এই প্রশ্ন ২০১৮ সাল থেকে শুনে আসছি। তার পর অনেক কিছু হয়েছে। কনুইয়ে চোট পেয়েছি। অস্ত্রোপচার হয়েছে। ৮৮ থেকে ৯০ মিটারের মধ্যেই আটকে ছিলাম। কিন্তু মনেপ্রাণে ৯০ মিটারের বেশি দূরত্বে ছুড়তে চাইছি। গত বছর একটা সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলাম, দোহা ৯০ মিটারের জন্য বিখ্যাত।” ঘটনাচক্রে, সেই দোহাতেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন নীরজ।
আরও পড়ুন:
ক্লস বার্তোনিজ়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ করে এখন জ্যান ইয়েলেনির অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন নীরজ। ইয়েলেনিও অতীতে ৯০ মিটারের বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়েছেন। চোট সারিয়ে ফিরে তিনি কতটা স্বচ্ছন্দ, শুক্রবার দোহায় সেটাই বোঝালেন নীরজ।