চেষ্টা করেও নেরকার বিরুদ্ধে জিততে পারলেন না এডুরা। ছবি: সংগৃহীত।
জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করল ইস্টবেঙ্গল। পর পর চার ম্যাচ জিতে শনিবার ইম্ফলে নেরকা এফসির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। বাইরের মাঠে খেলা হলেও আশা করা হয়েছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেরকার বিরুদ্ধে জিতেই মাঠে ছাড়বে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু না! মোহনবাগানের পর ইস্টবেঙ্গলকেও আটকে দিল পাহাড়ি দলটি। খেলার ফল ১-১। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে অদম্য লড়াই এবং জেদের পরিচয় দিল নেরকার তরুণ ফুটবলাররা।
তবে, ড্র করলেও এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। এরই সুবাদে ম্যাচের ১৩ মিনিটে উইলিস প্লাজার পাস থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন জাপানি মিডফিল্ডার কাটসুমি ইউসা।
গোল পেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করে লাল-হলুদ বাহিনী। প্রথমার্ধের শেষে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে খেলার ফল ছিল ১-০।
আরও পড়ুন: রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে হ্যাটট্রিক গুরবাণীর
আরও পড়ুন: ‘কোহালির আসল চ্যালেঞ্জ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে’
দ্বিতীয়ার্ধে আশা করা হয়েছিল আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে লিড বাড়িয়ে নেবেন উইলিস প্লাজা-চার্লস ডিসুজাদের ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু আশাই সার! গোল সংখ্যা বাড়ানো তো দূরের কথা, দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ ডিফেন্সিভ স্ট্রাটেজিতে দলকে খেলাতে শুরু করেন কোচ খালিদ জামিল। আল্ট্রা ডিফেন্সিভ স্টাইল নিতে গিয়ে নিজেদের উপর চাপ অনেকটাই নিয়ে নেন সালাম রঞ্জন সিংহ-এডুয়ার্ডো ফেরেরারা।
এরই সুযোগে ম্যাচের ৮৯ মিনিটে গোল করে নেরকাকে সমতায় ফেরান বিদেশি স্ট্রাইকার নেডো তুরকোভিচ। এর পর সাত মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হলেও ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারেনি কোনও পক্ষই। তবে নেরকার বিরুদ্ধে ড্র করলেও ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষেই রয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy