ফাইল চিত্র।
২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে ব্যর্থ হওয়ার পরে তিনি শরণাপন্ন হয়েছিলেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের। এবং তাঁর মূল্যবান পরামর্শ মেনে সেই বছরই অস্ট্রেলিয়ায় মিচেল জনসনের বিরুদ্ধে আক্ষরিক অর্থে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কাহিনি শোনালেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি।
ওই সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেছেন, “এই পর্যায়ের ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরে খেলার পরে একটা সময় আসে, যখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা হয়। একটা ভয় কাজ করতে থাকে মনের মধ্যে। লোকের সামনে এটা প্রমাণ করার তাগিদ তৈরি হয় যে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতেও কতটা ভাল খেলতে পারেন।” প্রসঙ্গত ২০১৪ ইংল্যান্ড সফরে কোহালির দশ ইনিংসে রনের গড় দাঁড়ায় ১৩.৫০। সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন তিনি। সেই টেস্ট সিরিজ়ে তাঁর মোট রান ছিল ৬৯২। যা নিয়ে কোহালি এই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে প্রত্যেকটা বিদেশ সফর যেন আমার কাছে ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার মতো, যেখানে আমাকে কোনওক্রমে পাস করতেই হবে এবং সবাইকে দেখাতে হবে যে এই পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে পারি।” জানান, ওই ব্যর্থতার পরে তিনি আরও ভাল উপলব্ধি করেন, কে তাঁর পাশে রয়েছেন এবং কারা সঙ্গে নেই।
কোহালি বলেছেন, “আমি অনুভব করতে শিখি, যখন সময় খারাপ যায়, তখন পাশে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না। খুব কম লোকই থাকে যারা আপনাকে সহায়তা করবে এবং এটা বলবে যে, চলো আমরা আবার নতুন ভাবে কাজ শুরু করি এবং তুমি যে ভাবে খেলতে চাইছ, তা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।” এমনই এক মানসিক অস্থিরতা নিয়ে দেশে ফেরার পরে নতুন ভাবে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন কোহালি। তাঁর কথায়, “বাড়ি ফেরার পরে ঠান্ডা মাথায় সমস্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করার পরে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কে পাশে রয়েছে এবং কারা পাশে নেই। বুঝতে পারলাম, কেউ আমাকে বিশ্বাস করেন না এবং অধিকাংশ মানুষই মনে করেন আমার টেস্ট ম্যাচ খেলা উচিত নয়। কিন্তু আমি কী করতে পারি অথবা না পারি, তা প্রমাণ করার জন্য কঠোর অনুশীলনে ডুবিয়ে দিই নিজেকে।”
অস্ট্রেলিয়া সফরে মিচেল জনসনকে কী ভাবে সামলাবেন, তা জানতেই সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে দেখা করেন। বিরাট বলেছেন, “ওর কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম এবং সচিনের পরামর্শেই মনের জোর আবার ফিরে পাই। বাড়িতে ফিরে নিজেকে বলি, সেই লোকগুলোকে এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে আমি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারি এবং আমাকে আউট করা সহজ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy