শুভমন গিল।—ফাইল চিত্র
শুভমন গিলের দুরন্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে দেওধর ট্রফির ফাইনালে উঠল ভারত ‘সি’। শনিবার ভারত ‘বি’-র বিরুদ্ধে পরীক্ষা শুভমনদের।
দিল্লির ফিরোজ শা কোটলায় বৃহস্পতিবারের ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বোর্ডের তিন নির্বাচক। তাঁদের সামনেই ১১১ বলে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন পঞ্জাবের তরুণ। যার পরে শুভমানের চোখে নতুন স্বপ্ন। বলে দিচ্ছেন, ভারতীয় দলে খেলার জন্যও তিনি প্রস্তুত। ধন্যবাদ দিচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়কে। বলেছেন, ‘‘দ্রাবিড় স্যর আমাকে দারুণ ভাবে প্রভাবিত করেছেন। উনি আমার ব্যাটিংটা খুব ভাল বোঝেন। গত দু’বছর ধরে উনি আমাদের সঙ্গে আছেন।’’
প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান করে ভারত ‘এ’। জবাবে তিন ওভার বাকি থাকতেই জয়সূচক রান তুলে দেন শুভমনেরা।
শুরুতেই ভারত ‘এ’ দলের ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন ও আনমোলপ্রীত সিংহ ৯৯ রানের জুটি গড়ে বড় রানের মঞ্চ তৈরি করেন। ৫৬ বলে ৫৯ রান করে ফিরে যান আনমোলপ্রীত। ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন অভিমন্যু। ১০৩ বলে ৬৯ রান করেন তিনি। নীতীশ রানা (৬৮)-র সঙ্গেও ৭৫ রানের জুটি গড়েন বাংলার ওপেনার। ২৪৪-৪ থেকে ২৫৬-৬ হয়ে যায় ভারত ‘এ’। সেখান থেকে ২৫ বলে অপরাজিত ৪১ রান করে বিপক্ষকে বড় লক্ষ্যের সামনে ফেলেন কেদার যাদব।
জবাবে ২৯৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৪ রানের মাথায় অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত ‘সি’। ১৪ রান করে ধবল কুলকার্নির বলে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে তাঁর হাতেই ধরা পড়েন রাহানে।
তিন নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের শুভমন। নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে মুকুন্দ (৩৭) ও সুরেশ রায়না (২)-কে ফিরে যেতে দেখেন তিনি। দলের রান তখন ৮৫-৩। শুভমনকে সঙ্গ দিতে আসেন ঈশান কিসান। তাঁর সঙ্গেই ইনিংসের হাল ধরেন পঞ্জাবের তরুণ। ১২১ রানের জুটি গড়ে তাঁরা। ৬০ বলে ৬৯ রান করেন ঈশান। শুভমন মারেন আটটি চার ও তিনটি ছয়। ম্যাচ শেষে দিনের নায়ক বলে দেন, ‘‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সুযোগ না পেলেও আমি জানি ভারতীয় দলে সুযোগ আসবেই। যে জন্য তৈরি থাকছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy