তাঁর বয়স তখন ১৩। খেলার জন্য হস্টেলে থাকতে হতো। সেই সময় নাকি এমন অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এই বাঁ হাতি ক্রিকেটারকে যে, একটা সময় আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। সে দিনের সেই ছোট্ট ছেলেটি আজ ভারতের জাতীয় দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।
তিনি সুরেশ রায়না। লখনউয়ের স্পোর্টস হস্টেলে থাকতেন তিনি। এক দিন খেলার জন্য ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন রায়না। রাত্রে হঠাত্ অনুভব করেন কিছু একটা ভারী জিনিস তাঁর শরীরের উপর। নড়াচড়া করতে গিয়েই দেখেন তাঁর হাত-পা বাঁধা। চোখ খুলতেই দেখেন একটি বাচ্চা ছেলে তাঁর বুকের উপর বসে আছে। তিনি মাথা তুলতেই মুখে প্রস্রাব করে দেয় বাচ্চাটি। কোনও রকমে বাচ্চাটাকে ঠেলে সরিয়ে সে দিন ট্রেন থেকে নেমে যান রায়না। এ তো গেল একটা ঘটনা। রায়না ভাল ব্যাটিং করতেন বলে হস্টেলের অনেকেরই সহ্য হতো না। এক দিন তাঁকে হকি স্টিক দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁর এক বন্ধুকে এমন মারা হয় যে তিনি কোমায় চলে যান। ভয় পেয়ে যান রায়না। এ রকম মাত্রাছাড়া র্যাগিংয়ের ভয়ে সে দিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু পারেননি। তার পরই হস্টেল ছেড়ে চলে যান রায়না। কিন্তু তাঁর দাদা তাঁকে বুঝিয়ে ফের সেখানে পাঠান। আর তার পর থেকে ফিরে তাকাতে হয়নি সেই ছোট্ট ছেলেটাকে। আজ তাঁকে সবাই এক ডাকে চেনেন। তিনি দাপুটে ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না।
আরও পড়ুন...
ত্রিমুখী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি গৌতম-তালুকে