তখন ওর বয়স বড় জোর ৪ কিংবা ৫। সেই বয়সে ক্রিকেট বোঝা সম্ভব নয়। তবুও বাবার সঙ্গে দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াত। ছোটবেলা আর পাঁচটা বাচ্চার মত আনন্দে কেটে যেত। তবে বয়স বাড়তেই শুরু হল সমস্যা। বিখ্যাত বাবার সন্তান হওয়ার জ্বালা আর কি! সবার মনে একটাই প্রশ্ন, ‘ছেলেটা ওর বাবার মতো প্রতিষ্ঠা পাবে তো?’ মন দিয়ে ক্রিকেট পাঠ শুরু করার পর থেকে অর্জুনের দিকে ক্যামেরার লেন্স তাক করার ব্যাপারটা আরও বাড়ল। দিন দিন সেটা বেড়েই যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও বাড়বে। তাই প্রশ্ন অর্জুন কি ‘লক্ষ্যভেদ’ করতে পারবেন?
তবুও অর্জুন তেন্ডুলকর নিজের মত করে এগিয়ে চলেছেন। একজন প্রকৃত মুম্বইকরের মতো ‘খরুস’ মানসিকতা নিয়ে। কিন্তু পিতা সচিন তেন্ডুলকরের নামের ওজন আর ছাড়ল কোথায়! লেখা ভাল ‘তেন্ডুলকর’ পদবির ওজন। ব্যাপারটা আরও জোরদার হল আসন্ন আইপিএলের জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এই তরুণ অলরাউন্ডারকে দলে নেওয়ার পর। রোহিত শর্মার দল তাঁকে ২০ লাখ টাকায় কিনতেই শুরু হয়ে গেল নেট মাধ্যমে হইচই। শুরু হয়ে গেল স্বজনপোষণের মারাত্মক অভিযোগ।
অর্জুন ওঁর কাছে সন্তানের মত। তাই ২১ বছরের ছেলেটিকে নেট মাধ্যমে ‘ট্রোল’ হতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিনোদ কাম্বলি। মুম্বই থেকে আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, “আমরা সচিন ঘনিষ্ট। তাই হলফ করে বলতে পারি ‘সচ’ কখনও ওর ছেলের জন্য সুপারিশ করতে যাবে না। গত কয়েক বছর অর্জুন আমার কাছে অনুশীলন করছে। মুম্বই প্রিমিয়ার লিগে আকাশ টাইগার্স দলে আমি ওকে কোচিং করিয়েছি। তাই অর্জুনের দক্ষতা ও পরিশ্রম সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। ইদানীং কিছু মানুষ নিজের মত ভাবনাচিন্তা করে অন্য মানুষ সম্পর্কে ধারণা তৈরি করে নিচ্ছে। আর এতেই সমস্যায় পড়ছে অর্জুনের মত তরুণরা। সেলিব্রেটির সন্তান হওয়া যেন এই দেশে অপরাধ হয়ে গিয়েছে!”