সিমাও সাব্রোসা
এক ফ্রি-কিক মাস্টারের পাশে এক টিমে বহু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আবার এই সে দিন আইএসএলে আর এক ফ্রি কিক মাস্টারের দলের বিরুদ্ধে নিজেই ফ্রি কিকে অসাধারণ গোল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের।
তিনি— সিমাও সাব্রোসা।
এ দিন রাজারহাটের পাঁচতারা হোটেলে সাফ বলে দিলেন, ‘‘রবের্তো কার্লোসের চেয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো অনেক ভাল ফ্রি-কিক মারে।’’
এখানেই না থেমে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের মার্কি যোগ করলেন, ‘‘পর্তুগালে আমরা সবাই ফ্রি-কিক মারার এক্সপার্ট। রোনাল্ডো তার বড় প্রমাণ। আমিও যেখানেই খেলি, ওর মতো ফ্রি-কিক থেকে গোল করার চেষ্টা করি।’’
পর্তুগালের জাতীয় টিমের অনুশীলনে রোনাল্ডোর মতোই নাগাড়ে ফ্রি-কিক মারা অভ্যেস সিমাওয়ের। সেই প্রসঙ্গ টেনে বলছিলেন, ‘‘রোনাল্ডোকে দেখেই শিখেছি। উফ! কী কঠিন পরিশ্রম করতে পারে। সবার আগে প্র্যাকটিসে নামে। সবার শেষে মাঠ ছাড়ে। প্র্যাকটিসে নিয়মিত অজস্র ফ্রি-কিক মারতে দেখেছি ওকে। ও-ই তো আমার অনুপ্রেরণা।’’
বারো বছর পর্তুগালের জাতীয় টিমে খেলার সুবাদে রোনাল্ডোকে খুব সামনে থেকে দেখেছেন সিমাও। ‘‘ডেডিকেশনের শেষ বলে যদি কিছু হয়, তা হলে সেটা রোনাল্ডো। আমি ওর জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। পারবও না। তবু আইএসএলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ফ্রি-কিকে নর্থ-ইস্টকে জেতাতে।’’
বার্সেলোনা, আটলেটিকো মাদ্রিদ, বেনফিকার মতো ক্লাবে খেলে এসেছেন সিমাও। তার মধ্যে আটলেটিকোর হয়ে ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্মৃতি-ই তাঁর কাছে সবচেয়ে গৌরবের। শনিবার কলকাতার সঙ্গে ম্যাচ। য়ে দলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আটলেটিকো নামটা। সে জন্যই যেন মনে হল বেশ নস্ট্যালজিক সিমাও। তাই সতীর্থদের যেমন তাতিয়েছেন, নিজেও তৈরি হচ্ছেন। বললেন, ‘‘ট্যুরিস্ট হয়ে আমি কলকাতায় ঘুরতে আসিনি। নর্থ ইস্টকে জেতাতে এসেছি। হয়তো এখন আমরা আইএসএলের লাস্ট বয়। কিন্তু এই অবস্থাতেও বলছি, আমাদের সেমিফাইনালে না ওঠার কোনও কারণ দেখছি না। আটলেটিকোকে হারিয়ে সেই লক্ষ্যেই এগোতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy