প্রতীকী ছবি।
রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রদেশ নেতা-নেত্রীদের সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে গিয়ে জয়ী জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। যা থেকে স্পষ্ট, তাঁরা পঞ্চায়েতে জয়ীদের শাসক তৃণমূলে যোগদানের ভয় পাচ্ছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘পাগল ছাড়া কেউ তৃণমূলে যাচ্ছেন না।’’
আসানসোলে সোমবার রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী কমিটির বৈঠক করেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, আর এক কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ প্রমুখ। বৈঠকের ফাঁকে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজ্য নেতারা জেলায় জেলায় যাবেন। আমাদের জয়ী জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে থাকবেন।’’ পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা— বিরোধী দলের প্রতীকে বা নির্দল হিসেবে জিতে পরে শাসক দলে যোগদান এখন রাজ্য রাজনীতির দস্তুর। বিজেপিও তার ব্যতিক্রম নয়। দলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে ফের তাঁদের জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউ তৃণমূলে চলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন রাজ্য নেতৃত্ব। তাই তা ঠেকাতে পঞ্চায়েতে জয়ীদের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রদেশ নেতাদের।
দিলীপবাবু অবশ্য এ দিন দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বিজেপি থেকে অনেকে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, আসলে কেউই যোগ দেননি। বরং, আমরাই অনেক যোগ্য লোককে দলে আনতে পারছি। যাঁদের জনাধার রয়েছে, তাঁরা আমাদের দলে আসছেন। যাঁদের নেই, তাঁরা তৃণমূলে।’’ দিলীপবাবু আরও দাবি করেন, দল বদলে যাঁরা বিজেপিতে আসছেন, তাঁরা সকলেই খুব যোগ্য। তাঁদের যোগ্য জায়গা দেওয়ার বিষয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
দিলীপবাবু জানান, অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বুথভিত্তিক কাজ হবে। ফেব্রুয়ারির পরে থেকে ২০১৯ লোকসভা ভোটের কাজে নেমে পড়বে গোটা দল। কিন্তু লোকসভা ভোট যদি ফেব্রুয়ারি-মার্চে হয়? তা হলে প্রস্তুতির কী হবে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন দলেরই অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy