Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
nandigram

নন্দীগ্রাম কাণ্ডে লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে তদন্তে সিআইডি

এই মামলায় লক্ষণ শেঠ ছাড়াও নাম রয়েছে আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে।

২০১৪-র নন্দীগ্রাম। পুলিশি প্রহরায় থমথমে। ফাইল চিত্র।

২০১৪-র নন্দীগ্রাম। পুলিশি প্রহরায় থমথমে। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ১৮:৫৪
Share: Save:

১৪ মার্চ ২০০৭, নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালানোর দিনেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের রায়নগরের বাসিন্দা দুর্গাপদ মাইতি এবং সাত নম্বর জালপাইয়ের বাসিন্দা সুব্রত সামন্ত। ওঁরা দু’জনেই ভাঙাবেড়াতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকা জমায়েতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখান থেকেই তাঁদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছিল। অভিযোগ, হলদিয়ার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, বর্তমানে বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ শেঠের নেতৃত্বে অপহরণ করেছিল সিপিএমের সশস্ত্র ক্যাডাররা।

সিআইডির আইজি (২) অশোক কুমার প্রসাদ এ দিন বলেন, “সেই অভিযোগের তদন্তভার নিল সিআইডি। এই মামলায় লক্ষ্মণ শেঠ ছাড়াও নাম রয়েছে আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে।” এঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন সেই সময় ওই এলাকার সিপিএমের দাপুটে নেতা।

এ বছরের শুরুর দিকে, দুর্গাপদের স্ত্রী অমিতা মামলা দায়ের করেন হলদিয়া আদালতে, পুলিশ যেন তাঁর স্বামীর হদিশ জানায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে নন্দীগ্রাম থানাকে আদালত এফআইআরে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এ বছর ২ মার্চ নন্দীগ্রাম থানা লক্ষ্মণ শেঠ এবং আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং খুনের মামলা শুরু করে। সেই মামলারই বৃহস্পতিবার তদন্তভার নিল সিআইডি।

লক্ষ্মণ শেঠের চিন্তা কি আরও বাড়ল? ফাইল চিত্র

আরও পড়ুন: কোষাগার বেহাল, খরচ কমাতে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, কোপ পড়ল নবান্নের মেনুতেও

পঞ্চায়েত: নির্দেশ প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন, ফয়সালা ৬ অগস্ট

এফআইআর অনুযায়ী ওই দিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকা জমায়েতে ভাঙাবেড়াতে গিয়েছিলেন দু’জনেই। সেই জমায়েত চলাকালীনই হঠাৎ শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং তার পরেই পুলিশ গুলি চালায়। অভিযোগ, সেই ভিড়েই ঢুকে গিয়েছিল লক্ষ্মণ শেঠের অনুগামী সশস্ত্র বাহিনী। সেই বাহিনীই দু’জনকে অপহরণ করে পরে খুন করেছে, এমনটাই অভিযোগ।

১৪ মার্চ পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সব ক’টি এফআইআর-এর তদন্তভার নিয়েছিল সিবিআই। সেই একই দিনের একই ঘটনায় কী ভাবে সিআইডি তদন্ত শুরু করল সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শীর্ষ সিআইডি কর্তাদের দাবি, সিবিআইয়ের তৈরি মৃত বা নিখোঁজের তালিকায় এই দু’জনের নাম ছিল না। তা ছাড়া ওই এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে এ বছর। তাই এই মামলার তদন্ত আলাদা ভাবে সিআইডি করতেই পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE