প্রতীকী চিত্র।
বেলঘরিয়ার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল। কিডনির সমস্যা, ডায়াবিটিস-সহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা ছিল ওই প্রৌঢ়ের। বুধবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়।
এ দিকে পঞ্চসায়রের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধের অবস্থা আরও সঙ্কটজনক। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, কিডনি ঠিক মতো কাজ করছে না। ভেন্টিলেশনেই ডায়ালিসিস চলছে। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থাতেই রয়েছেন নয়াবাদের ওই বাসিন্দা।
অন্য দিকে বেলঘরিয়ার বাসিন্দা যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তিনি গত ২৬ মার্চ বেলঘরিয়ারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন তাঁর জ্বর, সর্দি-কাশির লক্ষণ ছিল। ওই অবস্থায় চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। গভীর রাতে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। এ দিন সকালে তিনি মারা গিয়েছেন।
মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই তাঁর দেহ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর পর নিয়ম মেনে সৎকার হবে। মঙ্গলবার তাঁর লালরসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছয়। জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: নিজামউদ্দিনের জামাত ঘিরে চিন্তা গোটা দেশে
বেলঘরিয়ার রথতলায় ওই প্রৌঢ়ের একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে।পারিবারিক একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতান্নর ওই প্রৌঢ়ের বিদেশ বা ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার ইতিহাস নেই। তবে তাঁর এক পরিচিত ভিন রাজ্য থেকে এসেছিলেন। সেখান থেকে কোনও ভাবে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা দেখা হচ্ছে। ফাস্ট ফুডের দোকান চালাতেন, সেখানে প্রতিদিনই বহু ক্রেতা আসতেন। সে দিকটাও মাথায় রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা: দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইরোলজিস্টের মৃত্যু
তবে এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে এই মৃত্যুর বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ওই বেসরকারি হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম শেঠ বলেন, “৯টা ২৫ মিনিটে মারা গিয়েছেন ওই প্রৌঢ়। গত ২৬ তারিখে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে সব কিছু করা হয়েছে। এখন বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর দেখছে।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২৬। তবে রাজ্যে আরও চার জনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই চার জনের মধ্যে এক জন ডুয়ার্সের বাসিন্দা। অন্য তিন জন হলেন, গত ৩০ মার্চ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে করোনায় মৃত কালিম্পংয়ের এক মহিলার পরিবারের সদস্য।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার পর কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে তাঁদের। তবে দ্বিতীয় বার নিশ্চিত হওয়ার জন্য কলকাতার নাইসেডে ফের নমুনা পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy