প্রতীকী ছবি।
বিদেশ থেকে ফিরে কেউ ঘরে লুকিয়ে, কেউ দোকান খুলে রেখেছেন— এমন সব খবর পেয়ে সোমবার সকাল থেকেই ব্যস্ত ছিল পুলিশ। হঠাৎ সন্ধে ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের মোবাইলের ইনবক্সে একটি খবর আসে। তাতে দেখা যায়, বারাসতের রথতলার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি হুক্কা বার থেকে লাইভ করছেন এক তরুণী। পাশে জনা দশেক ছেলেমেয়ে। ডিজে চলছে, তার সঙ্গে মদ্যপান। নাচতে নাচতে ওই তরুণী বলছেন, ‘করোনা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। স্রেফ পার্টি করো—।’ তত ক্ষণে ওই ভিডিয়োটি নিয়ে নানারকম সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গেই বারাসত থানার পুলিশ আধিকারিক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যায়, তখনও চলছে পার্টি। তারা সবাই দশম, একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রী। চলছে উচ্চগ্রামে ডিজে। ওই ১০ জনকেই আটক করে আলাদা আলাদা গাড়িতে বারাসত থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ‘হ্যাংওভার’ নামে বারটির মালিককে। বারটিও পুলিশ সিল করে দেয়। এ দিন পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশ ছাড়াও একেবারে অত্যাবশকীয় পণ্য ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার মির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বার হওয়া কিংবা একসঙ্গে ৫ জন জড়ো হওয়াও বারন। কোনও নির্দেশই এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি।
অভিজিৎবাবু এ দিন বলেন, ‘‘ওই ছেলেমেয়েদের বাবা-মাকেও ডাকা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে কেবল পার্টিই নয়, একসঙ্গে এত জন জড়ো হয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করে মারাত্মক অন্যায় করেছে বাচ্চা বাচ্চা ওই ছেলেমেয়েরা।’’ অভিজিৎবাবুর সংযোজন, ‘‘সরকারি বিধিভঙ্গের দায়ে বারটির মালিক দীপ ভট্টাচার্যকেও গ্রেফতার করে বারটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে বিধিভঙ্গ করতে দেখলে পুলিশে খবর দেওয়ার আবেদনও করা হচ্ছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেবে।’’
আরও পড়ুন: তালাবন্দি কলকাতায় যান উধাও, ঠাঁই নেই সরকারি বাসেও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy