‘হটস্পট’ চিহ্নিতকরণের কাজ আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানাল নবান্ন।
গত এক মাসে রাজ্যে ২৫ হাজার বিদেশি নাগরিক এসেছেন। এ ছাড়াও ভিন্ রাজ্য থেকে বিভিন্ন জেলায় এসেছেন কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। যাঁদের অনেকেই কেরল, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, তামিলনাডু ফেরত। এর পরে দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত প্রায় ৩০০ জন প্রতিনিধিও গ্রামীণ এলাকায় ছড়িয়ে গিয়েছেন। আগামী দু’সপ্তাহে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ এঁদের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে নবান্ন। সে কারণে বিদেশি, ভিন্ রাজ্যের শ্রমিক ও নিজামুদ্দিন ফেরতদের গতিবিধি নিয়ে এ বার রাজ্যের মধ্যে ‘হটস্পট’ চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল রাজ্য। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে শনিবার নবান্নে জানান মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।
মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যেরা ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে এখন ক্লাস্টার বা হটস্পট চিহ্নিত করা হচ্ছে, যেখানে আগামী দিনে আক্রাম্তের সংখ্যা বাড়ার কথা। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা ট্র্যাভেল হিস্ট্রি, বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরেছেন, অন্য রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরেছেন, এ ছাড়া জ্বর-শ্বাসকষ্ট বেশি হচ্ছে— এমন প্রতিটি তথ্য জিআইএস ম্যাপে চিহ্নিত করছি। ফোর লেয়ার, ফাইভ লেয়ার ম্যাপিং হচ্ছে। আশা করছি, এক-দু’দিনের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে।’’
আরও পড়ুন: ছাড়া পেলেন রাজ্যের দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত
কেন এই সিদ্ধান্ত? মুখ্যসচিব জানান, এখনও রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। ‘হটস্পট’ চিহ্নিতকরণের কাজ সেই জন্যেই শুরু হয়েছে। কারণ, অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, বিদেশি নাগরিক, ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা ব্যক্তি, বিদেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের মাধ্যমেই রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। তাই ভৌগোলিক ভাবে যেখানেই এই শ্রেণির মানুষ বেশি রয়েছেন, সেখানে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে। প্রস্তুতির দিক থেকেও তাই সে সব জায়গায় জোর দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘কোন এলাকা থেকে আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি আসবে, তা চিহ্নিত করছি। সেই মতো কোভিড হাসপাতাল, মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজ়ারের জোগান শক্তিশালী করছি। প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। যাতে এক বার রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করলে তা দ্রুত সামাল দেওয়া যায়।’’
মুখ্যসচিব জানান, এক বার কোনও ব্যক্তির করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এলেই ট্র্যাকিং হচ্ছে। কেউ পজ়িটিভ হওয়া মাত্র তাঁকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার সংক্রমণ ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু সংক্রমণ হবেই না, এমন কথা বলা যায় না। সেই কারণে পরিকাঠামোর দিক দিয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। যাতে কোনও ভাবেই সংক্রমণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে না যায়।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy