রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি ও তাপস রায়। —নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাসের জেরে আপাতত রাজ্যে পুরভোট হচ্ছে না। জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার সর্বদল বৈঠকের পর কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, ‘‘কমিশনের সমস্ত প্রস্তুতি সারা। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে এবং রাজ্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির সুপারিশের ভিত্তিতে আপাতত পুরভোট হচ্ছে না।’’
করোনার সংক্রমণ রুখতে যে কোনও ধরনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। রাজ্যেও জারি হয়েছে সতর্কতা। এর জেরে পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ার জল্পনার মধ্যেই আজ সোমবার কমিশনের দফতরে সর্বদল বৈঠক ডাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকের পরেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ দিন পর আবার বৈঠকে বসে পরিস্থিতি আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না করলেও জল্পনা চলছিল, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহেই হতে পারে রাজ্যের ১১১টি পুরসভার ভোট। তার মধ্যে কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট হতে পারে দু’দফায়, এমন জল্পনাও রাজনৈতিক মহলে ছিল। কিন্তু সারা দেশে যে ভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং এ রাজ্যেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তাতে ভোট নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে এ দিন দুপুর তিনটে থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে শুরু হয় সর্বদল বৈঠক। ভোটের নির্ঘন্ট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানতে চাওয়ার জন্য বৈঠক হলেও সারা দেশে সংক্রমণ এবং রাজ্যে আতঙ্কের জেরে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।
নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত ও জয়প্রকাশ মজুমদার। —নিজস্ব সংবাদদাতা
আরও পড়ুন: রাজ্যে গৃহ-পর্যবেক্ষণে সাড়ে ৫ হাজার, বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী
এ দিনের সর্বদল বৈঠকে ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস-সহ কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠক সূত্রে খবর, করোনা আতঙ্কের জেরে সব রাজনৈতিক দলই জানিয়েছে, এখন ভোট না করার আর্জি জানিয়েছে। সেই আর্জি মেনেই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। যদিও কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই। প্রস্তুতিপর্ব চলছে। তাতে কোনও প্রভাব পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy