গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ এ বার চার হাজারের কোটা ছুঁয়ে ফেলার পথে। একই ভাবে করোনার প্রভাবে রাজ্যে মৃত্যুসংখ্যাও ৬ হাজারের পথে। আশঙ্কা বুকে নিয়েই রাজ্যের সর্বত্র উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। তার মধ্যে করোনা পরিস্থিতির এই চিত্র ভয় ধরানোর পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত ১৩ অক্টোবর থেকে লাগাতার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছিল রাজ্যে। কিন্তু এত দিন সেই ব্যবধানটা ৫০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও, এ বার তা ৯৪-এ গিয়ে ঠেকল। শনিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৫ জন, দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৭৭১।
আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩ হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ১২১, গতকালের তুলনায় যা ৬২১ বেশি। একই ভাবে করোনার প্রকোপে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যাও ছয় হাজার ছুঁইছুঁই। গতকালের মতো এ দিনও ৬১ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত করোনার প্রকোপে রাজ্যে ৫ হাজার ৯৯২ জনের প্রাণ গিয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩ হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ১২১, গতকালের তুলনায় যা ৬২১ বেশি। একই ভাবে করোনার প্রকোপে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যাও ছয় হাজার ছুঁইছুঁই। গতকালের মতো এ দিনও ৬১ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত করোনার প্রকোপে রাজ্যে ৫ হাজার ৯৯২ জনের প্রাণ গিয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
আরও পড়ুন: ভারতে শুরু হচ্ছে ‘স্পুটনিক ভি’-র ট্রায়াল, অনুমোদন রাশিয়াকে
তবে এমন পরিস্থিতিতেও সরকারকে আশা জোগাচ্ছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নোভেল করোনার প্রকোপ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ১৮৩ জন। মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৪০ জন এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তার ফলে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৭.৬৬ শতাংশ হয়েছে। তবে ২৮ সেপ্টেম্বরের পর সুস্থতার হার এত নীচে নামল।
প্রতি দিন যত জনের কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৪২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এ দিন যে হেতু বেশি সংখ্যক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, তাই সংক্রমণের হারও বেড়ে ৮.৯০ শতাংশ হয়েছে।
দৈনিক নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে বর্তমানে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনা ছাপিয়ে গিয়েছে কলকাতাকে। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৯২ জন। কলকাতায় সংখ্যাটা ৭৮৪। দুই জেলাতেই এ দিন ১৫ জন করে কোভিড রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৬১৭ জন। কলকাতায় ৬০৮ জন গত ২৪ ঘণ্টায় প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দৈনিক নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে বর্তমানে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনা ছাপিয়ে গিয়েছে কলকাতাকে। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৯২ জন। কলকাতায় সংখ্যাটা ৭৮৪। দুই জেলাতেই এ দিন ১৫ জন করে কোভিড রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৬১৭ জন। কলকাতায় ৬০৮ জন গত ২৪ ঘণ্টায় প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৫৩), হুগলি (১৪৮), হাওড়া (২৪৫), পশ্চিম বর্ধমান (১২১), পূর্ব বর্ধমান (১২৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (১৫৪), পূর্ব মেদিনীপুর (১৫৪), নদিয়া (১৫৮), জলপাইগুড়ি (১১৮) এবং দার্জিলিঙের (১০৪) মতো জেলাগুলিতেও বহু মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।
হাওড়ায় এ দিন ৭ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং নদিয়ায় ৪ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে মালদহ, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।
হাওড়ায় এ দিন ৭ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং নদিয়ায় ৪ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে মালদহ, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে। দার্জিলিং, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: টিকা বণ্টনে নির্বাচন কমিশনকে মডেল করতে বললেন মোদী
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy