Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

করোনায় আক্রান্তের অধিকাংশ কাজে বেরোনো মানুষ

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের দাবি, লকডাউনের সময় পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সংক্রমণের হার মোটামুটি একই রকম ছিল।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৪:২৬
Share: Save:

লকডাউনে বন্দি ছিল জীবন। আনলক পর্বে বাজারহাট এবং কর্মক্ষেত্রে এখন কার্যত অবাধ যাতায়াত। তার খেসারতও দিতে হচ্ছে কলকাতা-সহ রাজ্যকে। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে সবচেয়ে বেশি করোনা-আক্রান্ত হচ্ছেন কর্মক্ষম মানুষ। লকডাউন পর্বে আক্রান্ত বেশি হচ্ছিলেন বয়স্করা। কিন্তু সব কিছু খুলে যাওয়ার পরে সরকারি-বেসরকারি অফিসে কাজে যোগ দেওয়া, ভিড় বাজারহাটে দোকান খোলা মানুষজনের মধ্যেই করোনা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য কর্তারা।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের দাবি, লকডাউনের সময় পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সংক্রমণের হার মোটামুটি একই রকম ছিল। আনলক পর্বে পুরুষদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, সবকিছু খুলে যাওয়ার পর ১৮ হাজার ৫৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩ হাজার ১৬৫ জন(৭১%) পুরুষ। পাঁচ হাজার ৩৭৬ জন (২৯%) মহিলা। কর্তাদের ব্যাখ্যা, লকডাউনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য, সংগঠিত-অসংগঠিত ক্ষেত্র, সরকারি-বেসরকারি অফিসে যাতায়াত বেড়েছে। ফলে পুরুষদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। তুলনামূলকভাবে মহিলা কর্মীরা রাস্তাঘাটে কম বেরিয়েছেন, সেই কারণে তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের হার কম।

স্বাস্থ্যভবন জানাচ্ছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আক্রান্ত ১৮ হাজার ৫৪১ জনের বয়সের বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে ৬১ থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ১২.৯% মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ৭৫ বছরের উপরে ৩.২% মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ ১৬ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কর্মক্ষমদের মধ্যে আক্রান্তের ভাগ ৮০.২%। আক্রান্ত হলেও মৃত্যুহার এখনও বেশি বয়স্কদের মধ্যেই।

আক্রান্তের মধ্যে

কোন বয়সের কত শতাংশ

• ১৬-র নীচে ৩.৭

• ১৬-৩০ ২৯.৩

• ৩১-৪৫ ২৭.২

• ৪৬-৬০ ২৩.৭

• ৬১-৭৫ ১২.৯

• ৭৫-র বেশি ৩.২

স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি বাস চলতে শুরু করে। বাসে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা সম্ভব হয়নি। অফিস কাছারিতেও যে সব মানা হয়নি তা এখন বোঝা যাচ্ছে। কারণ, নবান্ন, নবমহাকরণ, স্বাস্থ্য ভবন, জেশপ বিল্ডিং, প্রাণীসম্পদ ভবন সর্বত্র করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রী আবার ৫০% কর্মী নিয়ে অফিস চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। অফিসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে বেসরকারি অফিসগুলিতেও যতদুর সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন। ৩১ জুলাই পর্যন্ত সরকার লকডাউন এবং আনলক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে সরকার। সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফের এক দফা লকডাউন করার ব্যাপারেও সরকারের অন্দরে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রেকর্ড, হাল বুঝে এলাকা ধরেই লকডাউন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Coronavirus Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE