রাজ্য নির্বাচন কমিশন।—ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের মে-জুনে কলকাতা-সহ ৯১টি পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাব দিল রাজ্য সরকার। সিউড়ি ও বোলপুর পুরসভার ‘ডিলিমিটেশন’ বা সীমানা পুনর্বিন্যাস করার কথা সেই চিঠিতে জানিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা এবং অন্যান্য পুরসভায় পৃথক দিনে ভোট হতে পারে বলেই প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভা এবং অন্য পুরসভাগুলির মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল সপ্তাহ দুয়েক। এ বারেও সেই পথেই হাঁটতে পারে কমিশন। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, কলকাতা এবং বাকি পুরসভার ভোটে আলাদা ভাবে হলে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে পুলিশের অনেকটাই সুবিধা হয়। নির্বাচন পরিচালনাতেও সুবিধা হয় কমিশনের। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, ভোটের জন্য সব সময় প্রস্তুতি থাকে। সুবিধা বা অসুবিধার কিছু নেই। প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়। আগামী বছরের এপ্রিলে পুরভোটের সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি।
নভেম্বরের গোড়ার দিকে রাজ্য ৯১টি পুরসভার ভোটের ব্যাপারে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। সেই চিঠির জবাবেই কয়েক দিন আগে সিউড়ি ও বোলপুর পুরসভা নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালের শেষ লগ্নে হাওড়া-সহ ১৭টি নির্বাচিত পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তার মধ্যে বাকিগুলির ওয়ার্ড সংরক্ষণ এবং পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হলেও বাকি ছিল হাওড়ার। সেই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। দু’-এক দিনের মধ্যে তা কমিশনের কাছে জমা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুর নির্বাচন না-হওয়ায় মঙ্গলবার হাওড়ায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
আরও পড়ুন: বিধায়ক কেমন? জনতার কাছে জানতে চান পিকে
মে-জুনে কলকাতা-সহ ৯১টি পুরসভার নির্বাচিত পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। আগামী অক্টোবরে মেয়াদ ফুরোনোর কথা বিধাননগর ও আসানসোল পুরসভার। ফলে ওই দু’টি পুরসভার ভোটও একসঙ্গে করা হতে পারে। দার্জিলিং পুরসভায় এখন নির্বাচিত পুর বোর্ড নেই। প্রশাসক দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। সেই জন্য দার্জিলিং পুরসভাতেও ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যের পরিচালনায় ব্যালট পেপারে ভোটের পক্ষে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলই এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগাযোগ করেনি। তবে পুরভোট সংক্রান্ত বিষয়ে নানা তথ্যের জন্য কমিশনের অফিসে যাতায়াত বেড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দর ঘিরে চমকের ইঙ্গিত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy