চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত মহিলা। —নিজস্ব চিত্র।
ফের চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরে আহত হলেন এক যাত্রী। এ বার নিশানায় নৈহাটি লোকাল। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে এক মহিলা যাত্রীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে একদল দুষ্কৃতী। পাথরের আঘাতে মহিলার কান-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এই ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাতে শিয়ালদহ থেকে ৮টা ৫২ মিনিটে ছাড়া আপ নৈহাটি লোকাল ধরে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা ইমিলি ঘোষ দাস। তাঁর অভিযোগ, বিধাননগর স্টেশন ছাড়তেই চলন্ত ট্রেনে ইমিলিকে লক্ষ্য করে পাথর জাতীয় ভারী কিছু ছোড়া হয়। সেটা ইমিলির মাথায় এসে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কান-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। সহযাত্রীরা তাঁকে ধরাধরি করে একটা জায়গায় বসান।
ইমিলির দাবি, বিধাননগর থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই একটি ভারী কোন বস্তু তার বাঁ-গালে এসে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে চোখ-মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। ট্রেনের রড ধরা না থাকলে তিনি হয়তো নীচে পড়ে যেতেন। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর ট্রেন বেলঘরিয়ায় পৌঁছলে সহযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ওই মহিলা রেল পুলিশ (জিআরপি)-এর কাছে যান। জিআরপি-ই মহিলার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। অভিযোগ জানানোর পর ইমিলির চিকিৎসার জন্য তাঁকে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ইমিলিকে আরজি কর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আরজি করে কিছু মেডিক্যাল টেস্টের পর তিনি বাড়ি ফেরেন।
আরও পড়ুন: ভোরের অভিযানে সাফল্য, গ্রেফতার ক্যানিংয়ের কুখ্যাত দুষ্কৃতী দীপঙ্কর মণ্ডল, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
এই ঘটনার পর ফের রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইমিলির অভিযোগ, জিআরপির কাছে গেলে প্রথমে তারা কোন অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে একটি রিপোর্ট লিখে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মহিলার আরও অভিযোগ, জিআরপির আধিকারিকেরা বলেন, এই রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তাঁরা যখন অভিযুক্তদের ধরতে যান, তখন দেখা যায় অভিযুক্তরা মানসিক ভারসাম্যহীন।
আরও পড়ুন: বড় বাড়াবাড়ি হচ্ছে: ধনখড় || কেন পাঠিয়েছে জানি: মমতা
মহিলার দাবি, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর একটি হাড়ে চিড় ধরেছে। সেই সঙ্গে কানেও রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। রক্ত জমাট কেটে গেলে বোঝা যাবে, তাঁর কানের পর্দা ফেটেছে কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy