সাক্ষাৎ: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। বুধবার রাজভবনে। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শুনে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার প্রায় এক মাস পরে, বুধবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সংশ্লিষ্ট মন্তব্যের নিন্দা করলেন তিনি।
যাদবপুরের প্রাক্তনীদের এক দল প্রতিনিধি এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য তন্ময় ঘোষ জানান, সেপ্টেম্বরে বাবুল যাদবপুর ক্যাম্পাসে যাওয়ার পরে যে-অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিয়ে আচার্য-রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয়। বহিরাগতেরা যে-ভাবে ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালিয়েছিল, তার নিন্দা করার জন্য প্রাক্তনীরা তাঁকে অনুরোধ করেন। রাজ্যপাল তখনই জানান, ভাঙচুর তো অবশ্যই নিন্দনীয়। তিনি শুনেছেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে সার্জিকাল স্ট্রাইক করা হবে’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। এটাও নিন্দাযোগ্য। তন্ময়বাবু জানান, যাদবপুরের বিশৃঙ্খলার পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ওই মন্তব্য করেন। তবে রাজ্যপাল এ দিন ওই মন্তব্যের নিন্দা করার সময় দিলীপবাবুর নাম করেননি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার ও ঐতিহ্য যাতে লঙ্ঘিত না-হয়, সেই বিষয়টি দেখতে রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন প্রাক্তনীরা। কাল, শুক্রবার রাজ্যপালের যাদবপুরের কোর্টের বৈঠকে থাকার কথা। রাজ্যপাল কোর্টের চেয়ারম্যান। এ বার যাদবপুরের সমাবর্তনে কবি শঙ্খ ঘোষ ও প্রাক্তন বিদেশসচিব সলমন হায়দারকে সাম্মানিক ডিলিট এবং আইএসআই-এর অধিকর্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজ্ঞানী সিএনআর রাওকে সাম্মানিক ডিএসসি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কোর্টের কাছে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। কোর্টের বৈঠকে সাধারণত রাজ্যপাল আসেন না। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল আসতে চেয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। সাম্মানিক ডিএসসি এবং ডিলিট দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যপাল দ্বিমত পোষণ করেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy