Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
SEZ

‘এসইজ়েড’ অসাম্য কমায়? গবেষণায় এ বার যাদবপুরও

এশিয়া থেকে এই গবেষণার দায়িত্ব পেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্তর্জাতিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সৈকত সিংহরায়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:১৬
Share: Save:

‘স্পেশাল ইকনমিক জ়োন’ বা এসইজ়েড (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) কী এবং সেই অঞ্চল গড়লে কার কতটা উপকার হয়, এই প্রশ্নকে ঘিরে গত দশকের বেশ কিছুটা সময় পশ্চিমবঙ্গ সরগরম ছিল। এ বার আফ্রিকা ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের গবেষকেরা মিলে এসইজ়েড নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। গবেষণার বিষয়: এসইজ়েড কি সত্যিই অসাম্য কমায়?

এশিয়া থেকে এই গবেষণার দায়িত্ব পেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্তর্জাতিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সৈকত সিংহরায়। তিনি জানান, ভিয়েতনাম, ভারত ও ঘানা— এই তিন দেশকে ‘কেস স্টাডি’ হিসেবে গবেষণায় রাখা হয়েছে। কারণ এই তিন দেশ এখন বিশ্বায়নের তিনটি স্তরে রয়েছে। জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকনমি, ডেনমার্কের কোপেনহাগেনে বিজ়নেস স্কুল, ঘানার ইউনিভার্সিটি অব ঘানা এবং ভিয়েতনামের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সোশিও-ইকনমিক ইনফর্মেশন অ্যান্ড ফোরকাস্ট যাদবপুরের সঙ্গে এই গবেষণায় যুক্ত।

সৈকতবাবু জানান, দেখা গিয়েছে, ভিয়েতনামে এসইজ়েড খুবই সফল হয়েছে। ভারতে সাফল্যের হার মাঝামাঝি। কিন্তু ঘানায় এসইজ়েড তেমন সফল হয়নি। এই তথ্য এবং বৈষম্যের নানা স্তর বিচার করে বোঝার চেষ্টা হবে, সত্যিই কি এসইজ়েড দারিদ্র দূর করার প্রয়োজনীয় হাতিয়ার? কোনও দেশে এসইজ়েড তৈরি হলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য কতটা দূর হতে পারে? এই তিন দেশের এসইজ়েড-পরিস্থিতি বিচার করে দেখা হবে, তাদের মধ্যে সাদৃশ্য কতটা, বৈপরীত্যই বা কোথায়। গবেষণায় যে-তথ্য উঠে আসবে, তার সাহায্যে ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এসইজ়েডের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব কী, তা বোঝা সহজ হবে।

এই গবেষণার জন্য অর্থ মিলছে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিক্সব্যানকেন্স জুবিলিয়ামসফন্ড থেকে। মোট অনুদান ১৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ইউরো। তার মধ্যে যাদবপুরের পাচ্ছে এক লক্ষ ৮১ হাজার ৪০০ ইউরো, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকা। চলতি বছরের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছে এই গবেষণা। শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালে। সৈকতবাবু জানান, করোনার জন্য গবেষণার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে অতিমারির প্রেক্ষিতে যখন সারা বিশ্বেই গবেষণা খাতে অনুদান কমছে, তখন গবেষণার জন্য যাদবপুরের এই অনুদান প্রাপ্তি অত্যন্ত সম্মানের বিষয় বলে মনে করছে শিক্ষা শিবির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

SEZ Jadavpur University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE