আজ দিল্লিতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতে পারে।
লোকসভা ভোটের জন্য এ রাজ্যে তৃণমূল সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। ২৫টি আসনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে বামেরাও। এ বার বিজেপির পালা। দলের তরফে আজ সোমবার দিল্লি থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে। তার আগে এ রাজ্যে দলের কে কোথায় প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক শিবিরে।
তবে বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথম দিনই ৪২টি আসনেই প্রার্থী তালিকা নাও ঘোষণা হতে পারে। পরিবর্তে আংশিক তালিকা প্রকাশ করতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এ রাজ্যে তবে কারা টিকিট পাচ্ছেন? এই নাম নিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে দলের অন্দরেই। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে আসা অর্জুন সিংহ ব্যারাকপুরে টিকিট পাওয়া প্রায় পাকা। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভারতী ঘোষের ঘাটাল আসনে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদহের হবিবপুরে দীর্ঘদিনের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুও কয়েক দিন আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে উত্তর মালদহে প্রার্থী করতে পারে দল। পদ্ম শিবিরের আলোচনায় রয়েছে বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তের নামও। তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে তাঁকে দমদমে প্রার্থী করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তা না হলে ওই কেন্দ্রে আলোচনায় রয়েছে শমীক ভট্টাচার্য বা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
এর বাইরে দলের পুরনোদের মধ্যে কাদের টিকিট দেওয়া হবে, তা নিয়ে কিছুটা টানাপড়েন কয়েছে। প্রার্থী নির্ধারণের বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, হেভিওয়েটদের প্রায় কাউকেই প্রার্থী করা হবে না। কেন? বিজয়বর্গীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যুক্তি ছিল, এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাতটি নির্বাচনী সভা করবেন। আরও সাতটি করে সভার নির্ঘণ্ট রয়েছে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২১টি জনসভা। সব হেভিওয়েটকে প্রার্থী করলে তাঁরা নিজের নিজের কেন্দ্রে প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন। তা হলে এই ২১টি সভায় লোক জোগাড় থেকে যাবতীয় কর্মকাণ্ড সামলাবেন কারা?
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের সব খবর পড়তে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: অভিষেকের নিরাপত্তায় বাড়াবাড়ির অভিযোগ তুলে দড়ির ব্যারিকেড খুলে দিলেন বাবুল
কিন্তু পরে অন্য তত্ত্বও উঠে আসে দলের অন্দরের আলোচনায়। নেতাদের একটি অংশ যুক্তি দেন, কোনও হেভিওয়েট বা দলের পরিচিত মুখকেই প্রার্থী না করা হলে, তাতে জনমানসে দলের ভাবমূর্তি ভাল নাও হতে পারে। তা ছাড়া এত গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে আনকোরা বা তুলনায় পিছনের সারির নেতা-নেত্রীদের প্রার্থী করা হলে তাঁদের জয়ের সম্ভাবনাও কমবে।
আরও পডু়ন: জটিল হচ্ছে গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসরে নিতিন গডকড়ী, রাতভর বৈঠক শরিক দলগুলোর সঙ্গে
এই যুক্তিতেই শেষ পর্যন্ত কিছু হেভিওয়েটকে টিকিট দিতে পারে বিজেপি। জল্পনা রয়েছে সে সব নাম নিয়েও। যেমন, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দাঁড় করানো হতে পারে মেদিনীপুরে। যদি দমদমে শমিককে প্রার্থী না করা হয় তা হলে কৃষ্ণনগরে তাঁর নাম বিবেচিত হতে পারে। বারাসতে সায়ন্তন বসুর নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। বনগাঁ কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর টিকিট পেতে পারেন। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে দল। এ ছাড়া পুরুলিয়ায় নরহরি মাহাত, বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের নামও আলোচনা হয়েছে দলের অন্দরে। দমদমে যদি বিবেচিত না হয় তবে বাঁকুড়ায় প্রার্থী হিসাবে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলেই জল্পনা।
তবে, চূড়ান্ত সিলমোহর না পড়া পর্যন্ত কোনও নাম নিয়েই মন্তব্য করতে নারাজ রাজ্য বিজেপি।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy