পিনাকী ঠাকুর।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় প্রয়াত হলেন কবি পিনাকী ঠাকুর। বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। চিকিৎসকদের প্রায় ১০০ ঘণ্টার লড়াইকে ব্যর্থ করে এসএসকেএমে মৃত্যু হয় তাঁর।
২০১৮-র ২১ ডিসেম্বর থেকেই সেলিব্রাল ম্যালেরিয়ার মতো বিরল অসুখে ভুগছিলেন পিনাকী। প্রথমে কল্যানী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে, পরে অবস্থার অবনতি হলে বারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। পরে অবস্থা আরও গুরুতর হলে এসএসকেএমের ভর্তি করা হয় তাঁকে।
মূলত আশির দশক থেকে লেখালিখি শুরু করলেও নব্বইয়ের দশকে এসে জনপ্রিয়তা লাভ করেন কবি। ‘হ্যাঁ রে শাশ্বত’, ‘চুম্বনের ক্ষত’, ‘আমরা রইলাম’, ‘শরীরে কাচের টুকরো’-র মতো কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ লিখে ভূয়সী প্রশংসা কুড়োলেও তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একদিন অশরীরী’ প্রকাশের পর থেকেই পাঠকের নজরে চলে আসেন পিনাকী। এই কাব্যগ্রন্থের কারণে প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিলেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মণীন্দ্র গুপ্ত, শঙ্খ ঘোষের মতো কবির কাছ থেকেও।
আরও পড়ুন: প্রয়াত সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিত
এই কাব্যগ্রন্থের জন্যই পেয়েছিলেন আনন্দ পুরস্কার।
২০১২ সালে ‘চুম্বনের ক্ষত’ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছিলেন আনন্দ পুরস্কার। এ ছাড়াও কৃত্তিবাস পুরস্কার ও বাংলা আকাদেমি পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছিলেন কবি। প্রায় চল্লিশ বছরের কবিতাচর্চায় পেয়েছেন আরও অজস্র স্বীকৃতি। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা কমিটিতেও নিজের দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন তিনি। অকৃতদার পিনাকী ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখে বরাবর পাশে পেয়েছিলেন কবিতাজগতের নানা সুহৃদকে।
১৯৫৯-এর ২১ এপ্রিল জন্ম হয় কবি পিনাকী ঠাকুরের। জন্মভিটে বাঁশবেড়িয়ার কাছে ত্রিবেণী শ্মশানে আজ শেষকৃত্য সমাপন হবে তাঁর। তবে তার আগে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বাংলা আকাদেমি চত্বরে তাঁর মরদেহ শায়িত থাকবে। কবির অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বাংলা কবিতাজগতে।
আরও পড়ুন: মানিকদার চোখে থেকে গিয়েছিল মুগ্ধতার রেশ
‘ছন্দমিলে ঝরা পাতায়’ কাটানো জীবনে ‘কখনও যদি মহাকাশের বন্ধু আসে’— সে খোঁজ করতেই কি পিনাকী পাড়ি দিলেন তেমন কোনও বন্ধুর খোঁজে?
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy