যাত্রী বিক্ষোভ হাওড়ার দাশনগরে। —নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী বিক্ষোভের জেরে প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাহত হল দক্ষিণ পূর্ব শাখার রেল চলাচল। সকাল ৮টা থেকে এই অবরোধ-বিক্ষোভ চলে হাওড়ার দাশনগর স্টেশনে। দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক লোকাল এবং দুরপাল্লার ট্রেন। চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণে যাত্রী-দুর্ভোদের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ বলে জানা গিয়েছে।
কী হয়েছিল?
ঘটনার সূত্রপাত ডাউন হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকালকে ঘিরে। এ দিন হাওড়ার দিকে আসছিল ডাউন পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটি দাশনগর স্টেশনে থামার কথা ছিল। কিন্তু স্টেশনে না ঢুকিয়ে ট্রেনটিকে মাঝের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন থেকে ঝুলে লাইনে নামেন যাত্রীরা। অনেক মহিলা যাত্রীকেও এই ভাবে নামতে হয়। তার উপরে ট্রেনটি মাঝের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকি আরও বেশ ছিল। কারণ, ওই সময়ে পাশের দু’দিকের লাইন থেকেও অন্যান্য ট্রেন চলাচল করছিল।
এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। লাইন পেরিয়ে স্টেশনে পৌঁছে স্টেশন মাস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। রেল লাইনেও বসে পড়েন অনেকে।
দাশনগর স্টেশন খুবই ব্যস্ত স্টেশন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রায় সমস্ত ট্রেনই এই স্টেশনের উপর দিয়ে যায়। বিক্ষোভের জেরে স্টেশনে ঢোকার আগে দূরপাল্লা এবং লোকাল ট্রেনগুলো পর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। দাঁড়িয়ে পড়েছে হাওড়া-খড়গপুর লোকাল, দুরন্ত এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল চারতলা বাড়ি, চলছে উদ্ধারকাজ
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে ভুল স্বীকার করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, স্টেশন মাস্টার ভুল করে ওই লোকাল ট্রেনকে গ্যালপিং ভেবেছিলেন। তাই মাঝের লাইন দিয়ে ট্রেন পাশ করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝের লাইনে ট্রেন ঢুকিয়ে দেওয়ার পরই তিনি ভুল বুঝতে পারেন। তখনই মাঝের লাইনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: চিনের অস্বস্তি বাড়িয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় আসছে আফ্রিকার ১২ দেশ
কী ভাবে এই ভুল হল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy