মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের রাস্তা। ছবি: পিটিআই।
পাহাড়ি রাস্তা না ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস বোঝা দায়!
মঙ্গলবার সকালে কামালগাজির কাছে বাইপাসের এমনই অবস্থা ছিল যে, সামনে ১০ ফুটের বেশি দেখা যায় না। ঘন কুয়াশার চাদর ঢেকে ছিল চারদিক। শুধু মঙ্গলবার নয়, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে আগামী কয়েক দিন ভোররাত এবং সকালের দিকে এমন ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম থাকবে। জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, “আপাতত এমনই আবহাওয়া থাকবে। তাপমাত্রার তারতম্য খুব একটা হবে না। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাস্প ঢোকার কারণে উত্তরে বাতাস বাধা পাচ্ছে। ভোর এবং সকালের দিকে কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমছে। কাশ্মীর, দিল্লিতে তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে।”
আরও পড়ুন: বিজেপি নিজের মিছিলে নিজেই লোক মারে, বললেন মমতা
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হয়। কলকাতায় বিমান ওঠানামাতেও দেরি হয়েছে। কুয়াশার ঝড়ো ব্যাটিং চললেও জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা আপাতত নেই। যতক্ষণ না বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পের বাধা সরছে, সকালের দিকে শীতের আমেজ মিলবে না। কুয়াশায় ঢাকবে রাস্তাঘাট।
পাহাড়েও তাপমাত্রা বেড়েছে সোমবারের তুলনায়। দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙে ৯.৫ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে ১৪.৬ ডিগ্রি, পানাগড়ে অনেকটা বেড়ে ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে পারদ।
আরও পড়ুন: বন্ধের সন্ধ্যাতেই আলোচনায় আহ্বান শাহের, বৈঠকে যোগ দেবেন কৃষকরা
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা বেশি। কাশ্মীর, দিল্লিতে পারদ কিছুটা চড়ছে। তার উপরে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাস্প রাজ্যে ঢোকার ফলে বাধা পাচ্ছে উত্তরে বাতাস। সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রার সামান্য হেরফের হলেও, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়়ার আশা দেখেছে না হাওয়া অফিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy