প্রচারে ঝড় তুলে ১৭ সিরিজ়ের আইফোন বাজারে এনেছে অ্যাপ্ল। কিন্তু, দু’দিন যেতে না যেতেই মার্কিন টেক জায়ান্টটির তৈরি মুঠোবন্দি ডিভাইসটিকে ঘিরে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। ব্যবহারকারীদের একাংশের দাবি, দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা আইফোনের পিঠের অংশে দেখা যাচ্ছে দাগ বা স্ক্র্যাচ। মূলত, ১৭ সিরিজ়ের প্রো শ্রেণির ফোনগুলিতে এই সমস্যা বেশি করে ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
১৭ সিরিজ়ের ফোনগুলির ব্যাকপ্যানেল বা পিঠের অংশ বিভিন্ন রঙের তৈরি করেছে অ্যাপ্ল। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, দাগ বা স্ক্র্যাচের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে হালকা রঙের ডিভাইসগুলিতে। রুপোলি রঙের ফোনগুলির ক্ষেত্রে এই সমস্যা সবচেয়ে কম। আইফোন ১৭ প্রো-র বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সমাজমাধ্যমের দৌলতে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ফলে যথেষ্টই অস্বস্তির মুখে পড়েছে বহুজাতিক মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা অ্যাপ্ল।
আইফোনে দাগ বা স্ক্র্যাচের সমস্যা কেন হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছেন গ্যাজেট বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, আইফোন-১৬তে টাইটেনিয়াম নামের একটি ধাতু ব্যবহার করেছিল নির্মাণকারী সংস্থা। ফলে ওই সিরিজ়ের ডিভাইসগুলির দাম ছিল বেশ চড়া। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট ধাতুটির জন্যেই আইফোন-১৬তে কোনও রকমের দাগ বা স্ক্র্যাচ কখনওই দেখতে পেতেন না গ্রাহক।
অন্য দিকে আইফোন-১৭ সিরিজ়ের কিছু ফোনে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করেছে অ্যাপ্ল। বিশ্লেষকদের দাবি, সেগুলিতেই দেখা যাচ্ছে স্ক্র্যাচ বা দাগের সমস্যা। এ ব্যাপারে উদাহরণ হিসাবে আইফোন এয়ারের কথা বলেছেন তাঁরা। ১৭ সিরিজ়ের ডিভাইসগুলির সঙ্গে ‘মেদহীন’ এই ফোনটিকেও বাজারে এনেছে নির্মাণকারী মার্কিন টেক জায়ান্ট। আইফোন এয়ারের দেহ তৈরি হয়েছে টাইটেনিয়ামে। আর তাই এতে কোনও দাগের সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না গ্রাহক।
গ্যাজেট বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, আইফোন ১৭ প্রো এবং আইফোন প্রো ম্যাক্স— মূলত এই দু’টি ডিভাইসের দেহ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করেছে অ্যাপ্ল। টাইটেনিয়ামের তুলনায় যা অনেকটাই নরম ধাতু। এ ছাড়া ১৭ সিরিজ়ের অধিকাংশ ফোনের পিঠের অংশ বা ব্যাক প্যানেলে কাচের ব্যবহার কমিয়েছে সংশ্লিষ্ট মার্কিন টেক জায়ান্ট। ফলে কোনও কারণে ওই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরামতির খরচ যে অনেকটাই কম পড়বে তা বলাই বাহুল্য।