স্মার্টফোন কত ভাল চলবে, তা নাকি পুরোপুরি নির্ভর করে র্যামের উপর। দোকানে ফোন কিনতে গেলে সাধারণত এই যুক্তি দিয়ে থাকেন বিক্রেতারা। তাঁদের দাবি, র্যাম যত বেশি হবে, ততই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবে সংশ্লিষ্ট স্মার্টফোন। টেক বিশ্লেষকেরা কিন্তু এ ব্যাপারে পুরোপুরি সহমত নন। তাঁদের কথায়, শুধুমাত্র র্যামের আকারের উপরে স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স নির্ভর করে না। রয়েছে অন্য অঙ্কও। কার যুক্তি ঠিক? ফোন কেনার সময় কী কী নজরে রাখতে হবে গ্রাহককে? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
র্যাম অর্থাৎ র্যান্ডম-অ্যাক্সেস মেমোরি। স্মার্টফোন হোক বা কম্পিউটার-ল্যাপটপ, এই ধরনের বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের গতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। সহজ উদাহরণের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন প্রযুক্তিবিদেরা। তাঁদের কথায়, র্যামকে একটা চায়ের দোকানের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সেখানে যদি চারটে আসন থাকে, তা হলে চার জন চা খেতে পারবেন। কিন্তু আসনসংখ্যা যদি দ্বিগুণ বা তিন গুণ হয়, তা হলে একসঙ্গে আট বা ১২ জন ক্রেতা পাবেন সংশ্লিষ্ট দোকানদার।
র্যামের বিষয়টিও কতকটা একই রকম। আকারে ছোট র্যামে (পড়ুন ৪ জিবি) দিব্যি চলবে স্মার্টফোন। কিন্তু, ছয় বা আট জিবি র্যামযুক্ত মুঠোবন্দি ডিভাইসে অন্য স্বাদ পাবেন ব্যবহারকারী। এর পর র্যাম যদি আরও বেশি হয়, অর্থাৎ ১২, ১৬ বা ২৪ জিবি হয়, তা হলে সেই স্মার্টফোনের পারফরম্যান্স যে চ্যাম্পিয়ানদের মতো হবে, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন:
কিন্তু ঠিক এইখানেই আর একটা বিষয়ের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদেরা। তাঁদের কথায়, শুধু র্যামের আকার নয়, স্মার্টফোনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার ক্ষেত্রে এর গতিবেগও গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাণকারী সংস্থাগুলি সাধারণত মুঠোবন্দি ডিভাইসগুলিতে এলপিডিআর-৪, এলপিডিআর-৪এক্স বা এলপিডিআর-৫ নামের র্যাম ব্যবহার করে থাকে। এই সংখ্যা যত বেশি হবে, র্যামের ছোটার সক্ষমতা তত বেশি, তা বলা যেতে পারে।