Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩
Honeymoon Destination

মলদ্বীপ-গোয়া নয়, মধুচন্দ্রিমায় যান ওড়িশার পান্না সবুজ আর ঘন নীল জলের নির্জন সৈকতে

কম খরচে মধুচন্দ্রিমা সারবেন কিন্তু পুরী যাবেন না? চিন্তা নেই, পুরীর কাছেই সমুদ্র আছে।

বেশির ভাগ সময়ে সমুদ্রের তীরে ঘুরে-বসেই কাটিয়ে দিতে পারেন।

বেশির ভাগ সময়ে সমুদ্রের তীরে ঘুরে-বসেই কাটিয়ে দিতে পারেন। ছবি- শাটারস্টক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৩৭
Share: Save:

বাড়ির রেওয়াজ, বিয়ের পর প্রথম যুগলে ঘুরতে যেতে হবে পুরীতেই। করতে হবে জগন্নাথ দর্শন। পুরী যেতে আপত্তি নেই কিন্তু বন্ধুদের বলবেন কী? মলদ্বীপ, কেরল, নিদেনপক্ষে গোয়ায় মধুচন্দ্রিমা করতে যাওয়া বন্ধুদের সামনে পুরীর নাম বললে মান থাকবে? এ দিকে বাড়ির বড়দের অমতে কিছু করতেও মন চায় না। চিন্তা কী? গোপালপুর আছে তো। রথ দেখা থুড়ি সমুদ্র আর জগন্নাথ দুই-ই হবে।

Advertisement

ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত গোপালপুর। নিরিবিলিতে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা। পুরীর সৈকতের মতো যে দিকেই চোখ যায়, চেনা মানুষের ঢল নেই। আবার সমুদ্রের ঢেউ ভালই। তাই একটি দিন পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করে সম্পর্কের গভীরতা মাপতে মধুচন্দ্রিমার বাকি দিনগুলি কাটাতেই পারেন এই নির্জন সৈকতে। চাইলে এখান থেকেই গা়ড়ি করে ঘুরে নেওয়া যায় ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ দারিংবাড়ি।

এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুই-ই ভাল লাগে।

এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুই-ই ভাল লাগে। ছবি- শাটারস্টক

কোথায় থাকবেন?

খুব ভাল হয় যদি ওড়িশা পর্যটন বিভাগ (ওটিডিসি)-এর হোটেলে থাকতে পারেন। তবে ভরা সময়ে ঘর পাওয়া মুশকিল। তাই আগে থেকে বুক করে রাখা ভাল। এ ছাড়া বিভিন্ন দামের হোটেল আছে। চাইলে একটু বেশি খরচা করে সমুদ্রমুখী ঘর নিতেই পারেন।

Advertisement

কী কী দেখবেন?

এখানকার মূল আকর্ষণ হল সমুদ্র। তাই বেশির ভাগ সময়ে সমুদ্রতীরে ঘুরেই কাটিয়ে দিতে পারেন। এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুই-ই ভাল লাগে। পাশেই রয়েছে বহু দিনের পুরনো লাইট হাউস। একটু দূরেই রয়েছে নির্মল ঝোরা এবং তারাতারিণী মন্দির। পরের দিন যেতে পারেন রম্ভায়। পুরীর চিল্কারই বিস্তৃত অংশ হল রম্ভা। পড়ন্ত বিকেলে নৌকাবিহার মন্দ লাগবে না। পরের দিন বারাকুল থেকে নৌকা করে ঘুরে আসতে পারেন নলবন এবং মোহনা থেকে।

কী ভাবে যাবেন?

হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বরগামী ট্রেনে চলে আসুন বেরহামপুর। সেখান থেকে গোপালপুর যেতে সময় লাগবে ঘণ্টাখানেক।

এ ছাড়া সড়কপথে আসতে পারেন। রাস্তা ভাল, কিন্তু সময় লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টার মতো।

আকাশপথে আসতে গেলে নামতে হবে ভুবনেশ্বরে। সেখান থেকে গাড়িতে গোপালপুর পৌঁছতে সময় লাগে ঘণ্টা চারেক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.