বিমানে উঠে ককপিটের দরজা খোলা রেখে দিয়েছিলেন পাইলট। কোনও ত্রুটি নয়। ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই কাজটি করেছিলেন বিমানচালক। সেই ঘটনা দেখে ভয় পেয়ে যান বিমানের যাত্রী ও কর্মীরা। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়ে যায় মাঝ-আকাশে। এটি কেবল নিয়ম লঙ্ঘনই ছিল না, এতে যাত্রীদের জীবনও বিপন্ন হতে পারত। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় বিমানসংস্থা। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়ের পাইলটকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
বিমানের চালক যদি তাঁর পদের অপব্যবহার করেন, তা হলে বিমানে বসে থাকা সকল যাত্রীর জীবন বিপন্ন হতে পারে। এই ঘটনাটিকে সে ভাবেই ব্যাখ্যা করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিমান সফরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লন্ডনের হিথ্রো থেকে নিউ ইয়র্কগামী বিমান ওড়ানোর সময় চালক তাঁর কেবিন বা ককপিটের দরজাটি খুলে রেখে দেন বলে অভিযোগ। এর কারণ ওই বিমানে তাঁর পরিবারের লোকজন ছিলেন। চালক পরিবারে সদস্যদের দেখাতে চেয়েছিলেন যে তিনি বিমান ওড়ানোর দায়িত্বে রয়েছেন। অপহরণ এবং সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি কমাতে সাধারণত পুরো বিমানযাত্রা জুড়ে ককপিটের দরজা বন্ধ রাখা হয়।
পাইলট ককপিটের দরজা খোলা রেখে দেওয়ার ঘটনায় যাত্রীদের পাশাপাশি বিমানসেবিকারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের এক জন সংবাদমাধ্যমে জানান, বিমানের কর্মী এবং যাত্রীরা হঠাৎ লক্ষ করেন ককপিটের দরজা খোলা রয়েছে। এতে যাত্রীরা অস্বস্তিতে পড়েন। দরজাটি বেশ কিছু ক্ষণ খোলা ছিল, যা যাত্রীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়ের ওই বিমানের কর্মীরা পাইলটের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিমান সংস্থাকে অবহিত করেছিলেন। এর পরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।