মাটি থেকে হাজার হাজার ফুট উপরে শূন্যে উড়তে উড়তে চলে প্রেমপর্ব। বিমান ওড়ানোর সময় চালক ও মহিলাকর্মীরা ঘনিষ্ঠ হন বিমানচালকের ককপিটে! বিমানকে অটোপাইলটে দিয়ে সেই সময় কেবিনে পরস্পরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হন তাঁরা। এমনই অদ্ভুত এক তথ্য সমাজমাধ্যমে ফাঁস করেছেন এক বিদেশি বিমানসংস্থার কেবিন ক্রু। ‘সিয়েরা মিস্ট’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি জানান, বিমানের যাত্রীদের পরিষেবা দেন যাঁরা, সেই কর্মীদের মধ্যে কারও কারও বিমানচালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝ-আকাশে ‘হাই মাইল ক্লাব’ খুলে বসেন তাঁরা।
বিমানসেবিকার দাবি, দীর্ঘ দূরত্বের উড়ানের সময়, বিশেষ করে ৩৫ হাজার ফুট উপরে ওড়ার সময়ে যখন বিমানে চালকের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন হয় না, তখন এই রোম্যান্টিক কার্যকলাপ দেখা যায় ককপিটে। অটোপাইলট মোডে বিমান রেখে কিছু পাইলট এবং বিমানসেবিকা ‘হাই মাইল ক্লাব’ খুলে ফেলেন ককপিটের মধ্যেই। কী ভাবে বিমানসেবিকা বা কর্মীদের ককপিটে ডাকা হয়? সিয়েরা মিস্টের মতে, স্ট্যান্ডার্ড অ্যাভিয়েশন প্রোটোকল অনুসারে, এক জন বিমানচালক এক জন বিমানসেবিকাকে ককপিটে ডাকতেই পারেন। যদি অন্য চালককে শৌচাগারে বা অন্য কোনও প্রয়োজনে ককপিট ছেড়ে বেরোতে হয় তখন এই নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে। সেই নিয়মের অপব্যবহার করে এই ধরনের ‘হাই মাইল ক্লাব’ খুলে যায় ককপিটে। তাঁরা দাবি, প্রায়শই যাত্রার আগে থেকে এগুলি পূর্বপরিকল্পিত থাকে।
আরও পড়ুন:
শুধু ককপিটই নয়, আরও একটি গোপন স্থান থাকে যেখানে বিমানচালক ও বিমানকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে গোপনীয় মুহূর্ত বা অন্তরঙ্গ সময় কাটান। সেটি হল ক্রু রেস্ট ডেক। দীর্ঘ উড়ান যাত্রার সময় কেবিন ক্রুদের বিশ্রামের জন্য সংরক্ষিত স্থান এটি। এই ডেকটি সাধারণত বিমানের যাত্রীদের চোখের আড়ালে রাখা হয়। এখানে শুধুমাত্র কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি থাকে। তবে বিমানসেবিকার এই দাবি কতটা সত্য তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টের মন্তব্যবাক্স ভরে গিয়েছে যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তিতে। কারও মতে, এই ধরনের কাজ হামেশাই হয়ে থাকে তো অন্য পক্ষের বক্তব্য, পুরো ব্যাপারটাই মিথ্যা।