নাতি আইসক্রিম ভালবাসে জেনে রাস্তার ধারে ঠেলাগাড়ি থেকে দু’টি আইসক্রিম কিনে এনেছিলেন ঠাকুমা। সাত বছরের খুদে সেই মোড়ক খুলে আয়েশ করে তাতে কয়েক কামড় দেওয়ার পর বিজাতীয় বস্তুর উপস্থিতি লক্ষ করে। দৌড়ে গিয়ে ঠাকুমার কাছে সেটি দেখাতেই আঁতকে ওঠেন তিনি। অর্ধেক আইসক্রিম খাওয়ার পর দেখা গিয়েছে ভিতরে রয়েছে পচাগলা টিকটিকির দেহ। অভিযোগ, সেই আইসক্রিম খেয়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের লুধিয়ানায়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রাস্তার ধারে আইসক্রিমের ঠেলাগাড়ি থেকে ২০ টাকা দিয়ে আইসক্রিম কিনে নাতির হাতে তুলে দিয়েছিলেন ঠাকুমা। খানিকটা খাওয়ার পর তা থেকে মরা টিকটিকির দেহাবশেষ বার হয়। বাটিতে করে সেই আইসক্রিমটি বিক্রেতার কাছে এনে দেখান ওই মহিলা। যদিও আইসক্রিমে টিকিটিকি পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিক্রেতা। আরও অভিযোগ, এত কিছুর পরেও বিক্রি বন্ধ করেননি বিক্রেতা। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। বিষাক্ত আইসক্রিমটি খাওয়ার পর শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটির। দ্রুত তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে সে। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে অবহিত করা হয়। তিনি আইসক্রিম সংস্থা ও কারখানাটির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কয়েক দিন আগে একই ঘটনা ঘটেছিল গুজরাতের মনিনগরে। একটি নামী সংস্থার আইসক্রিম ভিতরে পাওয়া গিয়েছিল টিকটিকির লেজ। এত তরুণী নিজের এবং ছেলেমেয়েদের জন্য জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের চারটি আইসক্রিম কিনেছিলেন। প্রায় অর্ধেক আইসক্রিম খেয়ে ফেলার পর আচমকা দেখেন, আইসক্রিমের ভিতরে একটি মৃত টিকটিকির লেজের টুকরো! অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। তাঁর পেটে তীব্র ব্যথা এবং বমি শুরু হয়। সেই ঘটনার পর দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয় ও মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হয়।