মদ খেয়ে নির্যাতন করতেন স্বামী। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়িছাড়া হন রাজস্থানের এক গৃহবধূ। এর পর তিনি বেঙ্গালুরুতে চলে যান। সেখানে তাঁর থেকে বয়সে ছোট এক তরুণীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে সমকামী সম্পর্ক। কয়েক দিন আগে তাঁরা দু’জনে বিবাহিত তরুণীর বাপের বাড়ি রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার মইনপুরা গ্রামে ফিরে আসেন। দুই তরুণীর সমপ্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি গ্রামের অনেকেই। আপত্তি জানান বিবাহিত তরুণীর পরিবারের সদস্যেরাও। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর ফিরে আসার এবং নতুন সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। ছুটে আসেন তাঁরাও। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে।
আরও পড়ুন:
বাড়ির বউয়ের নতুন সম্পর্কে তীব্র আপত্তি ওঠে শ্বশুরবাড়ির পরিবারে। পরিবারের সদস্যদের এবং দুই তরুণীর মধ্যে তীব্র তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে ওঠে যে স্থানীয় পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। উদয়পুরবাটি থানার আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে হাজির হতেই তরুণী পুলিশকে জানান যে তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক। স্বেচ্ছায় তাঁরা এই সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন। গ্রামে আসার পর পরিবারের ক্রমাগত হুমকি শুনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন মইনপুরা গ্রামের বাসিন্দা তরুণী। বিবাহিত তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন যে নির্যাতনের কারণে তিনি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে চলে গেছেন এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ি বা বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। উভয় পরিবারই তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিবাহিত মহিলার একটি ছেলেও রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর বিবাহিত মহিলার বাড়ি থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেটি প্রত্যাহার করার পর তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। তরুণী জানান, অতীত জীবনকে পিছনে ফেলে এসেছেন এবং ভয় ছাড়াই স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চান। পুলিশ জানিয়েছে যে কোনও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়নি। কারণ দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক।