দু’বছরের শিশুকে সহ্য করতে পারতেন না বাবা। বাবার কোলেপিঠে ওঠার চেষ্টা করলেও তাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিতেন তরুণ। স্বামীর এ হেন আচরণে অবাক হয়েছিলেন তরুণের স্ত্রী। অথচ জন্মের পর থেকে এই ছেলেকেই চোখে হারাতেন স্বামী। সন্তানের প্রতি যত্ন নিতেন ও সমস্ত কর্তব্য পালন করতেন। ছেলের বয়স দুই বছর পেরোতেই হঠাৎ যেন চক্ষুশূল হয়ে যায় সন্তান। ছেলের প্রতি কেন বিরক্তির মনোভাব পোষণ করেন স্বামী? কারণ জানতে চেয়ে বার বার প্রশ্ন করেন স্ত্রী। তার জবাবে স্বামী যে উত্তর দেন তা শুনে হতবাক হয়ে যান তরুণী।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যম রেডিটে পোস্ট করে তরুণী লেখেন, তাঁর স্বামী স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁদের দু’বছরের ছেলেকে ঘৃণা করেন, কারণ তিনি সেই সন্তানের জন্মদাতা নন। অন্য কারও শুক্রাণু দিয়ে আইভিএফের মাধ্যমে গর্ভধারণ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। এই ভাবে সন্তানধারণের সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত ছিলেন তরুণ। এ কথা স্ত্রীকেও জানান তিনি। রেডিটে তরুণী লেখেন, ‘‘নবজাতক অবস্থায় সন্তানের প্রতি আমার স্বামী যথেষ্ট যত্ন নিত। ছেলেকে খাওয়াত এবং রাত জেগে খেয়াল রাখত। বাবা হিসাবে সব দায়িত্বই পালন করেছে।’’
কিন্তু যখনই ছেলের বয়স দু’বছর হল, তার পর থেকেই স্বামীর আচরণে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে বলে জানান স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। এক দিন এ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করায় প্রচণ্ড রেগে যান তরুণ। সে দিনই তিনি জানিয়ে দেন, ছেলেকে ঘৃণা করেন কারণ সে অন্যের সন্তান। অন্যের শুক্রাণুর মাধ্যমে সন্তানধারণ করা তাঁর জীবনের মস্ত বড় ভুল।
তরুণী লিখেছেন, এই কথা শোনার পর তিনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি জানান, হয়তো বিষয়টি খুবই জটিল। কিন্তু তাঁর সন্তান কেবল বাবার ভালবাসা পেতে চায়। এই অবস্থায় তাঁর কী করণীয় তা জানতে চেয়েছেন তরুণী। এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এক জন রেডিট ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আপনার এখানেই সম্পর্ক শেষ করে ফেলা উচিত। এমন কারও সঙ্গে থাকা কঠিন যিনি আপনার সন্তানকে ঘৃণা করেন।” অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘আপনার স্বামীর দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। যদি তিনি এই অনুভূতি কাটিয়ে উঠতে না পারেন, তা হলে আপনাকেই আলাদা হতে হবে।”