গহনা, সোনা, নগদ টাকা তো আছেই। বিয়ের সময় কনের হাতে আরও একটি অনন্য উপহার তুলে দিলেন তাঁর বাবা মা। ১০০ টি বিশেষ প্রজাতির বিড়াল, সিভেট ক্যাট। সব ক’টির দাম প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। শ’খানেক দামি বিড়াল ঠাঁই পেয়েছে নববধূর উপহারের তালিকায়। বিলাস বহুল উপহারের তালিকায় বিড়াল ছাড়াও রয়েছে সোনার বাট, নগদ টাকা, শেয়ার ও রিয়্যাল এস্টেটের অংশীদারি। ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’- এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২২ বছর বয়সি ভিয়েতনামী কনের জন্য উপহারের ডালি সাজিয়েছেন তাঁর বাবা-মা। ভবিষ্যতে মেয়ের যাতে আর্থিক স্বাধীনতায় ছেদ না পড়ে তাই এই ব্যবস্থা।
বিয়ের সময় সোনাদানা, গয়নাগাঁটি দেওয়ার প্রচলন প্রায় সর্বত্রই। তবে উপহারের তালিকার মধ্যে সবচেয়ে নজর কাড়া বস্তুটি হল একশোটি বিড়াল। প্রতিটিই মেয়ে বিড়াল। এই বিড়ালের বিশেষত্ব হল এদের মল থেকেই তৈরি হয় ‘কোপি লুয়াক’ বা ‘সিভেট কফি’। এই প্রাণীর মল থেকে কফির বীজ সংগ্রহ করে, সেই বীজ প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয় এই কফি। আরব সাগরীয় ও ইউরোপের দেশগুলোয় এই কফির দাম প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। পরবর্তীতে কনে যদি বিড়ালগুলি পুষতে চান বা বিক্রি করে অর্থ রোজগার করতে চান তার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন কনের বাবা ও মা। কনের বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে বিজনেস স্কুলের স্নাতক । এই সম্পদ পরিচালনা করতে সে যথেষ্ট সক্ষম।’’
কনের বিলাসবহুল যৌতুকের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল ২৫টি সোনার বাট, নগদ ২০ হাজার ডলার বা ১৭ লক্ষ টাকা, প্রায় ১১ হাজার ডলার মূল্যের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার, সাতটি সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পদও । বরের পরিবারের তরফ থেকে উপঢৌকন হিসাবে এসেছিল ১০টি সোনার বাট, নগদ ৬ লক্ষ টাকা ডলার এবং হিরের গয়না।
কনের উপহারের কথা সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই দ্বিধাবিভক্ত হয়েছেন নেটাগরিকেরা। অনেকেই কনের বাবা-মায়ের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের একাংশের যুক্তি মেয়েকে ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষমতা দেওয়া নগদ টাকা দেওয়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। আবার অনেকে ভিন্ন মত পোষণ করে বন্যপ্রাণীগুলির শোষণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছিলেন।