ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অচেতন হওয়া এক যাত্রীকে সিপিআর দিয়ে বাঁচালেন সিআইএসএফ জওয়ান। নিরাপত্তা তল্লাশির সময় আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এক যাত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে তুলে প্রথমে জল খাওয়ানো হয়। তার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সিপিআর (কার্ডিয়োপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেন সিআইএসএফ আধিকারিক। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সিআইএসএফ নিজেদের এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিমানে ওঠার আগে নিরাপত্তা পরীক্ষার সময় হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করেন ওই যাত্রী। হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন তিনি। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন সিআইএসএফের আধিকারিক। যাত্রীর দিকে জলের বোতলও এগিয়ে দিতে দেখা যায় তাঁকে। এর পরই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যাত্রী। চিকিৎসক আসতে দেরি হওয়ায় যাত্রীকে মাটিতে শুয়ে সিপিআর দিতে শুরু করেন জওয়ান। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে চিকিৎসাদল বিমানবন্দরে না আসা পর্যন্ত তিনি সিপিআর চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পরে যাত্রীর অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ভিডিয়োটি পোস্ট করে লেখা হয় ১ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা তল্লাশির সময় যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সিআইএসএফ জওয়ান বীরেন্দ্র সিংহ তাঁকে সিপিআর দেন, ফলে যাত্রীর জীবন রক্ষা হয়। পোস্ট অনুসারে অসুস্থ যাত্রী মহম্মদ মুখতার আলম সে দিন গয়া যাচ্ছিলেন।ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর তা সাড়ে ছ’লক্ষ বার দেখা হয়েছে। প্রায় চার হাজার মানুষ তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘সিপিআরের মতো জীবন রক্ষাকারী কৌশলগুলি স্কুলে বার বার শেখানো উচিত। কারণ এটি অনেকের জীবন বাঁচাতে পারে।’’ আবার অনেকে সিপিআর দেওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে নানা মত প্রকাশ করেছেন। নেটাগরিকদের একাংশ মনে করছেন অজ্ঞান হলেই সিপিআর দেওয়া ঠিক নয়। কারণ রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া বা আতঙ্কের মতো অনেক কারণেই মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।