বাঘের ভয়ের চেয়েও বেশি ভয়নাক মায়ের বকুনির ভয়। দোষ না করেও খেতে হতে পারে বকাঝকা, কপাল খারাপ হলে জুটতে পারে পিটুনি। বাঘের কামড়ের ভয় না পেলেও, মায়ের বকা খাওয়ার ভয়ে কেঁদে ফেলল এক খুদে। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সেই শিশুর কাতর আর্তি মন জয় করে নিয়েছে সমাজমাধ্যমের। একটি চিড়িয়াখানায় বাচ্চা ছেলেটির জামা বাঘ ধরে টেনে রেখে দেওয়ার ভিডিয়ো ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার সঠিক স্থান এবং সময় স্পষ্ট নয়, এবং শিশুটির পরিচয়ও অজানা। পরিস্থিতি কী ভাবে শেষ হয়েছিল তা-ও জানা যায়নি। এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে ছেলেটি বাঘের খাঁচার সামনে এসে দাঁড়াতেই ঘটে যায় বিপত্তি। বাঘটি কোনও ভাবে ছেলেটির জামাটি কামড়ে ধরে ফেলে। জামাটি মুখ দিয়ে টানতে টানতে ছিঁড়ে ফেলে পশুটি। খাঁচায় বন্দি বাঘটি খাঁচার দিকে টেনে নিয়ে যায় বালকটিকে। সেই অবস্থাতেও বাঘের ভয় না পেয়ে নিজের জামার অবস্থা নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে খুদে। বাঘটিকে তার জামা ছেড়ে দিতে বলে পরিত্রাহি চিৎকার করতে থাকে সে। বাঘও নাছোড়বান্দা, কোনও ভাবেই জামা ছাড়তে চাইছে না। ভিডিয়োয় ছেলেটিকে বলতে শোনা যায় ‘‘দয়া করে আমার শার্টটা ছেড়ে দাও, না হলে আমার মা আমাকে বকাঝকা করবেন। দয়া করে ছেড়ে দাও।’’ ক্রমাগত দু’পক্ষের টানা হ্যাঁচড়ায় জামাটির এক দিক ছিঁড়ে যায়। বাচ্চাটি বার বার ‘‘বাঁচাও বাঁচাও’’ বলে চিৎকার করতে থাকে।
যদিও তাকে সাহায্যের জন্য কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি সেই ভিডিয়োয়। ভিডিয়ো দেখে এক জন নেট মাধ্যমব্যবহারকারী রসিকতা করে বলেন, মায়ের পিটুনি বাঘের আক্রমণের চেয়েও ভয়ঙ্কর! মাকে ডরায় না এমন লোক দুনিয়ায় কমই আছে।’’ অন্য এক জন ব্যবহারকারীর মন্তব্য ‘‘এই বাচ্চাটির প্রতিক্রিয়া অসাধারণ ! যখন একটি বাঘ তার জামা ধরে, তখন তার মাথায় প্রথম চিন্তা যে চিন্তাটি আসে, তা মায়ের তিরস্কারের!’’