মোমো বিক্রি করে কর্পোরেট চাকুরীজীবীর থেকেও বেশি আয়! মাসে ৩১ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ দিনে গড়ে এক লক্ষ টাকা রোজগার হয় বিভিন্ন স্বাদের মোমো বিক্রি করে। তাও কোনও স্থায়ী দোকান নেই। রাস্তার ধারে ঠেলায় মোমো বিক্রি করেই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন এক তরুণ। সমাজমাধ্যমে এমনটাই দাবি তুলেছেন এক বিষয়স্রষ্টা। বেঙ্গালুরুতে এক জনপ্রিয় মোমোবিক্রেতার সঙ্গে এক দিন কাটিয়ে তাঁর আয়ের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন বিষয়স্রষ্টা তরুণ। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
এক্স হ্যান্ডল থেকে ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই সমাজমাধ্যম প্রভাবী তরুণ মোমোর দোকানে গিয়ে সেখানে বিক্রেতার সঙ্গে পুরো সময় কাটান। ভিডিয়োয় ওই তরুণ স্টলে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। গ্রাহকদের খাবার পরিবেশন করা থেকে শুরু করে মোমো ও স্যুপ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিলেন বিষয়স্রষ্টা তরুণ। তিনি ভিডিয়োয় দাবি করেন, বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত স্টলে প্রায় ৯৫০ প্লেট মোমো বিক্রি হয়েছিল। প্রতিটি প্লেটের দাম ১১০ টাকা। নেটপ্রভাবী তরুণের দাবি অনুযায়ী দৈনিক আয় প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছিল।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ‘জিজিগণেশ’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিয়োটি প্রায় ৪ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর নেটাগরিকেরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘কর্মচারীর দরকার পড়লে আমাকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে পারেন।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘হিসাব করলে দেখা যাবে এক জন গ্রাহকের সঙ্গে যদি ১ মিনিটও সময় কাটান, তা হলে ৯০০ প্লেট পরিবেশন করতে দোকানির ৯০০ মিনিট সময় লাগবে। ১৫ ঘণ্টার সমান। স্পষ্টতই এই দাবি মিথ্যা।’’