চলন্ত ট্রেনে চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়া সহযাত্রীদের সহায়তায় সন্তানপ্রসব করলেন এক তরুণী। ট্রেনে সফরকালে হঠাৎ ওই তরুণীর প্রসববেদনা ওঠে। কামরায় হইচই পড়ে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা অন্তঃসত্ত্বা যাত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন কামরার মহিলা যাত্রীরা। নিরাপদে সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছডি়য়ে পড়েছে সমাজামাধ্যমে। যদিও ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি ভিডিয়োয়। ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল ভিডিয়োর শুরুতে দেখা গিয়েছে, একটি নবজাতককে কোলে নিয়ে তার মাকে দেখাচ্ছেন এক যাত্রী। তরুণীটি আসনে শুয়ে রয়েছেন। কামরার সকলেই হাসিমুখে এই আনন্দের মুহূর্তটি উদ্যাপন করছিলেন। ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়োটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘ট্রেনে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা শিশুর জন্ম দিয়েছেন। চিকিৎসক ছাড়াই ট্রেনে শিশুর জন্ম দেওয়া অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম কিছু নয়।’’ শিশুটির জন্মের পর যাত্রীরা মোবাইলে শিশুর ছবি ও ভিডিয়ো তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শিশুটির যত্ন ও পরিচর্যার ভার মহিলা যাত্রীরা নিজেদের কাঁধে তুলে নেন। কোচের মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে সমস্ত যাত্রী শিশুটির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মা ও শিশু উভয়েই আপাতত নিরাপদ রয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে ‘ফানজ়মি’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর হাজার হাজার বার দেখা হয়েছে সেটি। ৫১ হাজারের বেশি লাইক জমা পড়েছে তাতে। যাত্রীদের সহৃদয়তা মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের। পোস্টটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, “কোনও টাকা খরচ হয়নি, কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে, মা এবং শিশু উভয়ই ভাল আছেন।” অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘শিশুটি সম্ভবত আজীবন বিনামূল্যে রেল ভ্রমণের সুযোগ পাবে।’’
তবে ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জনের দাবি, ‘‘চিকিৎসকেরা সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে রেল বা বিমান সফর এড়াতে পরামর্শ দেন। বিশেষ করে ৩০ সপ্তাহের পরে। এই ধরনের দীর্ঘ যাত্রা মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।’’ তবে রেলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।