আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। রাতে বিহারের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় স্কুটার নিয়ে ভুল রাস্তায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে পুলিশ তাঁদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেই ঘটনার ফলে উত্তেজনার পারদ চড়ে খুব শীঘ্রই। অভিযোগ, সেই সময় স্কুটার নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে ধাক্কা মেরে বেশ কিছুটা রাস্তা টেনে নিয়ে যান এক পুলিশকর্মী। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, তরুণী এবং তাঁর স্বামী রাতে স্কুটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ‘ইউ-টার্ন’ নেওয়ার জায়গাটি অনেক দূরে থাকায় মাঝরাস্তায় স্কুটি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা। স্কুটিতে চড়ার পরিবর্তে হেঁটে উল্টো দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেন। রাস্তায় টহলরত এক পুলিশকর্মী দেখতে পেয়ে তাঁদের থামান। কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন যে তাঁদের ১২ হাজার টাকার একটি জরিমানা বাকি রয়েছে। জরিমানা না দেওয়ার জন্য স্কুটির চাবি কেড়ে নিয়ে সেটিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই পুলিশকর্মী। তরুণী তাতে বাধা দেওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা তরুণী স্কুটির সামনে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁকে ধাক্কা মেরে পুলিশকর্মী স্কুটারটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তরুণী বার বার চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘‘আমি হেঁটে যাব না। আমি আপনার পিছনে বসেই যাব।’’ ঘটনায় লোকজন জড়ো হয়ে যান। এর পর পুলিশকর্মী স্কুটিটিকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং তরুণীকে তাঁর পিছনে বসান। তরুণীর অভিযোগ, পুলিশকর্মী তাঁকে একাধিক বার ধাক্কা দিয়েছিলেন। তিনি সরে যাওয়ার সময় স্কুটারের বাম্পারটি তাঁর পেটে আঘাত করেছিল।
প্রতিবেদন অনুসারে, পরে দম্পতি থানায় ক্ষমা চেয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁরা ১৫ দিনের মধ্যে বাকি থাকা জরিমানা পরিশোধ করবেন। এই আশ্বাসের পর, পুলিশকর্মী তাঁদের স্কুটারটি ফিরিয়ে দেন। ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘ট্রাফিক আইন নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অধিকার দেয় না। এই ঘটনার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, “ঘটনায় দম্পতির দোষ ষোলো আনা। তবে অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর প্রতি আর একটু সহৃদয় আচরণ করা উচিত ছিল পুলিশের।’’ ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও।