Advertisement
E-Paper

টাকার বিনিময়ে ওজন করে অতিথিদের দেওয়া হচ্ছে পোলাও-মাংস! পাকিস্তানে বিয়েবাড়ির ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই হাসির ঝড়

ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে একটি গ্রামের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের থেকে আগাম টাকা নিয়ে ওজন করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। এক ব্যক্তি খাটিয়ায় বসে খাতা-পেন নিয়ে হিসাব কষছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৫৫
wedding guests pay for their food weighed on a scale in Pakistan

ছবি: সংগৃহীত।

১ কেজি পোলাওয়ের দর ২ হাজার টাকা, ২ কেজি মুরগির মাংসের জন্য দিতে হবে ৫ হাজার টাকা এবং সব্জির পদের দাম ১০০০ টাকা। বিয়েবাড়ির ভোজ খেতে হলে এই দামই দিতে হবে আমন্ত্রিত অতিথিদের! ফেলো কড়ি, তবেই মিলবে বিয়ের খাবার। এমনই অদ্ভুত এক ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। আমাদের দেশে নয়। ঘটনাটি পড়শি দেশ পাকিস্তানের। ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে একটি গ্রামের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের থেকে আগাম টাকা নিয়ে ওজন করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। এক ব্যক্তি খাটিয়ায় বসে খাতা-পেন নিয়ে হিসাব কষছেন। অতিথিদের থেকে টাকা নেওয়ার পর তাঁদের প্লেটে ওজনযন্ত্রে মাপ করে পোলাও, মাংস ইত্যাদি তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশে বসে তদারক করছেন বর। তাঁর পরনে বিয়ের পোশাক, গলায় মালা। অতিথিরা সার বেঁধে দাঁড়িয়ে টাকা জমা করে খাবার নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার খাবার নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন।

ইনস্টাগ্রামে ‘আবদুল্লাহভ্লগস’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা নজর কেড়েছে নেটাগরিকদের। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রতিফলন এই ভিডিয়োটি মনে করছেন নেটাগরিকদের একাংশ। ভিডিয়োটি হাস্যকর হলেও, পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ধরা পড়েছে এই ভিডিয়োয়। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর ফলে খাবারের দাম আকাশছোঁয়া। পাকিস্তানে মুরগির দাম এখন প্রতি কেজি ১৫০০ টাকারও বেশি। অন্য দিকে গম এবং চালও ব্যয়বহুল। বিয়ের মতো সামাজিক উদ্‌যাপন আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানি পরিবারগুলির।

ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর অনেক পাকিস্তানি নেটাগরিক তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী উল্লেখ করেছেন, ‘‘আমাদের পরিবারের বিয়েতেও একই কাজ করতে হয়েছিল, না হলে আমরা ঋণের নীচে চাপা পড়ে যেতাম।’’ আর এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘টাকা দিয়ে যখন খেতে হবে রেস্তরাঁয় গিয়ে খেলেই হয়।’’

Viral News Wedding Menu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy