টেসলার গাড়ির সেন্সর স্ক্রিনে ধরা পড়ল ভূতুড়ে অবয়ব! অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে গাড়িটি এ বার ভূতের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারছে বলে নেটমাধ্যমে দাবি উঠেছে। স্বভাবতই এই দাবি নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমে। টেসলা ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে রহস্যময় ছায়ামূর্তি। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল হওয়া সেই বিতর্কিত ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, টেসলার একটি গাড়ির ভিতর বসে রয়েছেন দু’জন। তাঁরা একটি নির্জন কবরস্থানের ভিতরে বসে রয়েছেন বলে ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে। চারপাশে বেশ কয়েকটি রহস্যময় অবয়ব ঘোরাফেরা করার দৃশ্য ধরা পড়েছে গাড়িতে থাকা মনিটরে। যদিও সেখানে রক্তমাংসের কেউ ছিল না বলে দাবি করেছেন গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা। এই ভিডিয়োটিই অনলাইনে কৌতূহল এবং সন্দেহের উদ্রেক ঘটিয়েছে অনেকের।
টেসলার গাড়িগুলিতে ‘অটোস্টিয়ার’ রয়েছে। ফলে স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখলেই গাড়ি চলতে শুরু করে। এ ছাড়াও এই প্রযুক্তির সাহায্যে লেনের চিহ্ন, রাস্তার ধার এবং কাছাকাছি যানবাহন বা বস্তু শনাক্ত করতে পারে গাড়িটি। সেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়েই এ বার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নেটাগরিকেরা। ‘আমেরিকা পাপা বেয়ার’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। তার পর থেকেই এই ভিডিয়োটির সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন অনেকে। টেসলার গাড়ি রয়েছে এমন এক জন জানিয়েছেন, তিনি গভীর রাতে একটি কবরস্থানের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনিও তাঁর গাড়ির ডিসপ্লেতে একাধিক মানুষের মতো আকৃতি দেখতে পেয়েছিলেন। যদিও আশপাশ একেবারেই জনমানবশূন্য ছিল।
অন্য এক নেটাগরিকও গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তাঁর গাড়ির সেন্সরগুলি চারপাশে মানুষের মতো আকৃতি শনাক্ত করতে পেরেছে। যদিও বাইরে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এক জন নেটাগরিক রসিকতা করেছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত ইলন মাস্ক নিজেই এটি প্রোগ্রাম করেছেন!’’