গ্রামের ভিতর জলের পাইপ বসাতে সকাল থেকেই গলদঘর্ম অবস্থা শ্রমিকদের। পাইপ বসানোর আগে ভাল করে মাটি খুঁড়ে নিচ্ছেন তাঁরা। তা করতে গিয়েই শ্রমিকেরা সন্ধান পেলেন ‘যকের ধন’-এর। মাটি খুঁড়তে গিয়ে চকচকে জিনিসের দেখা পেতেই মাটির আরও গভীরে খুঁড়তে শুরু করলেন তাঁরা। ভাল করে সেই চকমকে চাকতিগুলি পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, এগুলি স্বর্ণমুদ্রা। তার পরেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে উন্মাদনা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে খবর পাঠিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের অলীগঢ়ের ভারেতি গ্রামে ঘটেছে। জলের পাইপ বসানোর জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন শ্রমিকেরা। মাটি খুঁড়তে গিয়েই ১১টি ছোট ছোট স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান পান তাঁরা। পুলিশকে জানাতে সেই খবর জেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যায়। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনার ফলে শ্রমিকেরা খননকার্য তাৎক্ষণিক ভাবে বন্ধ করে রেখেছেন। গ্রাম জুড়ে পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। জেলা প্রশাসন মুদ্রা আবিষ্কারের বিষয় নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে অবহিত করেছে।
আরও পড়ুন:
মুদ্রাগুলির সঠিক বয়স এখনও জানা যায়নি। সেগুলি কোনও প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অনুমান করছেন যে, মুদ্রাগুলির সঙ্গে কোনও অলৌকিক ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দাবি, মুদ্রাগুলির ঐতিহাসিক তাৎপর্য নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
আপাতত মুদ্রাগুলি সুরক্ষিত করা হয়েছে। পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে তদন্ত চালাচ্ছেন। জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মুদ্রাগুলি জাদুঘরে রাখা হবে না কি অন্য কোনও আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হবে তা উপযুক্ত বিশ্লেষণের পর নির্ধারণ করা হবে।