বনের মধ্যে লুকোনো ছিল গুপ্তধন। মোট ৭০টি সোনা ও রুপোর মু্দ্রার হদিস পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। প্রাচীন বাণিজ্যপথ এবং স্থানীয় ইতিহাসের খোঁজ পাওয়ার জন্য গভীর বনে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলার সময় গবেষকেরা ষোড়শ শতকের প্রাচীন মুদ্রাগুলির সন্ধান পান বলে সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব পোল্যান্ডের শান্ত নাইসজিনস্কায় ফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ পার্ক নামের একটি বনাঞ্চলে সন্ধানপর্ব চালাতে গিয়ে আকস্মিক ভাবেই মু্দ্রাগুলি হাতে আসে প্রত্নতাত্ত্বিকদের।
প্রত্নতাত্ত্বিক হুবার্ট লেপিওঙ্কা সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক নথি থেকে জানা যায় যে এই অঞ্চলটি থেকে ১৬-১৭ শতকে ডাচ বণিকদের কাছে প্রচুর পরিমাণে কাঠ রফতানি করা হত। মূলত জাহাজ নির্মাণে ব্যবহারের জন্য সেগুলি পাঠানো হত। ধাতব মুদ্রাগুলির মধ্যে ১৬৩৩ সালে তৈরি একটি ডাচ সোনার মুদ্রা রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে পোল্যান্ড ও সুইডেনের রুপোর মুদ্রা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে মুদ্রাগুলি কোনও ব্যবসায়ী বা বনের মধ্যে কর্মরত কোনও কাঠুরের ছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে ঘন ঘন যুদ্ধ, ডাকাতি এবং অস্থিরতার কারণে সম্পদ রক্ষা করার জন্য অনেকেই সে সব মাটিতে পুঁতে ফেলতেন। কিন্তু পরে তাঁদের লুকোনো সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে আর ফিরে আসতে পারেননি বেশির ভাগই। শত শত বছর ধরে মাটির তলাতেই গুপ্ত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে সেই সম্পদ। বিজ্ঞানীরা আপাতত মুদ্রাগুলি পরিষ্কার করবেন এবং তাদের তারিখ আর চিহ্ন পরীক্ষা করবেন। মাটি এবং ছাইয়ের স্তর বিশ্লেষণ করে করে সেগুলি মাটিতে পোঁতার সময় এবং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন তাঁরা।