কিশোরী মেয়ের মধ্যে কয়েক মাস ধরে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করেছিলেন মা। অল্পস্বল্প পেটে ব্যথা, বমি, খিটখিটে আচরণ ও ওজনবৃদ্ধি। প্রথমে এই শারীরিক সমস্যাগুলিকে হালকা ভাবে নিয়েছিলেন কিশোরীর মা। প্রাথমিক অবস্থায় মেয়ের শরীরের পরিবর্তনকে হরমোনের সমস্যা বলে মনে করছিলেন তিনি। ক্রমে মেয়ের অবস্থার অবনতি হতে হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসা শুরুর আগেই তাঁর সামনে এল ভয়ানক এক সত্য। সেই অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি রেডিটে শেয়ার করেছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন:
তিনি পোস্টে লিখেছেন, এক দিন সকালে তাঁর মেয়ে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে চিৎকার করতে শুরু করে। তাড়াহুড়ো করে মেয়েকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালের দিকে ছোটেন। মাঝপথেই ঘটে যায় ভয়াবহ এক ঘটনা। গাড়ির পিছনের আসন থেকে একটি শিশুর কান্না শুনে চমকে ওঠেন কিশোরীর মা। হতবাক হয়ে ঘুরে দেখেন, তাঁর মেয়ে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কোলে রয়েছে এক নবজাতক। ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরী গাড়িতেই সন্তান প্রসব করে ফেলে। মেয়ে যে সন্তানসম্ভবা তার বিন্দুমাত্র আভাস আগে পাননি বলে পোস্টে দাবি করেছেন কিশোরীর মা। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল এবং কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মা তাকে কোনও মতে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে সক্ষম হন। যেখানে চিকিৎসকদের দ্রুত সহায়তায় মা এবং শিশু উভয়কেই বাঁচানো সম্ভব হয়। দু’জনেই সুস্থ হয়ে ওঠে। পরে কিশোরীর মাকে চিকিৎসকেরা জানান, এই ঘটনাটিকে ‘গোপন গর্ভাবস্থা’ বলে। যেখানে মেয়েটিও নিজের গর্ভাবস্থা সম্পর্কে অবগত ছিল না। তার ঋতুস্রাব বন্ধ হয়নি। পেটের আকারেও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
অপ্রত্যাশিত ভাবে সদ্য দিদিমা হওয়া ওই মহিলা পোস্টে জানান, মেয়ের শরীর খারাপ সম্পর্কে কৌতূহল দেখানোর পর তাঁর মেয়ে তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। প্রায়ই ঘরের মধ্যে নিজেকে বন্দি করে রাখত সে। মেয়ের গর্ভাবস্থার তেমন কোনও লক্ষণ তাঁর চোখে ধরা পড়েনি বলেই জানিয়েছেন পোস্টদাতা। পোস্টে নিজেদের নাম ও পরিচয় ঊহ্য রেখেছেন তিনি।